
নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার দাপট দেখিয়ে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর কার্যক্রম নিজের ইচ্ছা খুশি মত নয় ছয় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় অর্থের বিনিময়ে এক বিএনপি’র কট্ররপন্থী সমর্থককেও দলে ভিড়িয়েছেন এই যুবলীগ নেতা। দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করে নিজের শক্তি বাড়াতে মরিয়া এই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।
একাধিক মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার ৬নং রমজাননগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জি,এম আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজেকে অনেক বড় মাপের নেতা মনে করেন। এ নিয়ে ইউনিয়ন জুড়ে রয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হয়েই তিনি ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটিগুলোতে নিজের শক্তি বাড়াতে ত্যাগী, পরিক্ষীত ও পোড় খাওয়া নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপি জামায়াত-শিবিরের চিহ্নিত লোকজন দিয়ে কমিটি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনি বিএনপির সকল কর্মকান্ডে সক্রিয় একজন বিএনপি সমর্থককে রমজাননগর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। বিএনপি সমর্থকের নাম আমিনুর রহমান বাবু। সে তারানীপুর গ্রামের মৃত আমের আলীর পুত্র।
এই বিএনপি সমথর্কের ফেসবুক আইডি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বিএনপির পক্ষে প্রচারনার বেশ কিছু ছবি। যেগুলো ২০১৭ ও ২০১৮ সালের। ফেসবুকের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সেগুলো মুছে ফেলা হয়েছে। তবে মুছে ফেলার আগেই সেগুলো স্থানীয় সাংবাদিকরা স্ক্রিন শর্টের মাধ্যমে সংরক্ষন করেছে। যেগুলো সাতনদীর অফিসে এসে পৌছেছে।
এ ব্যাপারে এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগের বিষয়ে আমিনুর রহমান বাবু গল্পের ছলে কিছুটা স্বীকার করেন। তবে এসব ছবি এডিট করা বলেও তিনি দাবী করেন।
এছাড়া “ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” ¯েøাগানের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১০ টাকা কেজি দরের চাউল বিতরনের রমজাননগর ইউনিয়নের ডিলার যুবলীগ নেতা জি,এম আব্দুল্লাহ আল মামুন। এখানে রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতি ও চাউল আত্মসাতের অভিযোগ। এসব নিয়েও ভুক্তভোগী লোকজন বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে।
রমজাননগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জি,এম আব্দুল্লাহ আল মামুন তার বিরুদ্ধে সকল ঘটনা অস্বীকার করে জানান, আমার কিছু প্রতিপক্ষরা সুযোগ সুবিধা না পেয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি ২০০৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সাথে জড়িত। গত সংসদ নির্বাচনে দলাদলিকে কেন্দ্র করে এসব হচ্ছে বলেও তিনি দাবী করেন।
অপর একটি সূত্র জানায়, রমজাননগর ইউনিয়নে যুবলীগের কোন আহবায়ক বা পূর্নাঙ্গ কমিটি নেই। জি,এম আব্দুল্লাহ আল মামুন কিছু নেতাদের ম্যানেজ করে ইউনিয়ন যুবলীগে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে।