
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার সদরে কলারোয়া সরকারি গোপিনাথপুর কলারোয়া মুরারীকাটি করুনাময় মিত্র পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চত্ত্বর থেকে নিয়মবহির্ভূত ভাবে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক কদম গাছ কর্তন করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠা কদম গাছ টি সরকারি নিয়মনীতির উপেক্ষা করে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে কর্তন করে মোটা অংকের বিনিময়ে বিক্রি করা হয় স্থানীয় কাঠ ব্যাবসায়ী শাহিনের কাছে। পরিপত্রের নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোন গাছ কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে তাদের উর্ধ্বতন কর্মকতার অনুমোদন নিতে হবে। এরপর বন বিভাগে আবেদন করতে হয়। সেই আবেদন সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করে গাছের মুল্য নির্ধারন করে কাটার অনুমতি দেন। কিন্ত এসব নিয়মের কোন তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র নিজের পকেট ভারী করতে মরিয়া হয়ে সৌন্দর্য পূর্ন কদম গাছটি কর্তন করেন।
কলারোয়া সরকারি জি,কে,এম,কে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রকিব জানান, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব স্যারের নির্দেশে গত ইং ০২মার্চ তারিখ সকাল আনুমানিক ১০ টার সময় কদম গাছটি কর্তন করা হয়। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বেড়ে ওঠা বিদ্যালয় চত্ত¡রের কদম গাছটি সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি প্রচন্ড রোদ্দুরে বছরের পর বছর ছায়া দানকারী গাছটি খামখেয়ালি ভাবে কর্তন করেছে। তিনি আরও বলেন, কর্তনকৃত কদম গাছটির মুল্য আনুমানিক ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা হবে।
এ বিষয় কলারোয়া সরকারি জি,কে,এম,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কদম গাছ কর্তন করিনি। আমি বিদ্যালয়ে এসে শুনি অফিস সহকারী গাছ কেটেছে। কর্তনকৃত কদম গাছ কোথায় বিক্রি করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুনেছি ২ হাজার টাকা মুল্যে স্থানীয় কলারোয়া শ্রীপতিপুর কাঠ ব্যাবসায়ী শাহিন এর নিকট বিক্রি করেছে।’
এ বিষয় কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস এর সাথে মুঠো ফোনে একাধিকবার আলাপের চেষ্টা কালে কলটি গ্রহণ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় কলারোয়া সরকারি জি,কে,এম,কে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।