
নিজস্ব প্রতিবেদক , শ্যামনগর থেকে ফিরে:
সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চুনকুড়ি গ্রামে সৌদি প্রবাসী মুজিবর মোড়লের পুত্র মঞ্জুরুল আলমের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও পরিবারের স্বজনদের জীননাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে অভিযুক্ত ওই গ্রামে মোঃ আজগর আলি মোড়লের পুত্র একাধিক বিবাহকারী আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় লিখিত সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
সাধারণ ডায়েরী সূত্রে জানাযায়, বিবাদী আনিছুর রহমানের স্ত্রী রেশমা বেগমকে আনিছুর রহমান বেশ কিছুদিন পূর্বে সৌদি আরবে পাঠান কর্মসংস্থানের জন্য। সৌদিতে অবস্থান করাকালীন সময়ে তার স্ত্রী রেশমা অন্যের দ্বারা প্রতারনার শিকার হয়। বাদীর স্বামী মঞ্জুরুল আলম সৌদিতে অবস্থান করায় বিবাদী বাদীর নিকট থেকে বাদীর স্বামীর মোবাইল নাম্বার নিয়ে বাদীর স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে এবং বিবাদী তার স্ত্রীকে একটি কাজের সন্ধান দেওয়ার জন্য খুবই অনুরোধ করে। বাদীর স্বামী মানবিক দিক বিবেচনা করে বিবাদীর স্ত্রী রেশমা বেগমের কাজের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বিবাদীর স্ত্রী বাদীর স্বামীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে অন্যত্রে অবস্থান করে। পরবর্তীতে বিবাদী বাদীর স্বামীকে দোষারুপ করিয়া বাদীকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি, হুমকি-ধামকি অব্যাহত রাখে। এমতাবস্থায় গত ইং- ১২/০২/২০২৩ তারিখ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিবাদী বাদীর বাড়ির সামনে ইটের সোলিং রাস্তার উপর আসিয়া বিবাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে যে, বিবাদী ও বিবাদীর পরিবারের লোকজনদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হয়রানী মূলক মামলা, বিভিন্ন ভাবে অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন করিবে এবং সুযোগ পাইলে বাদীকে জীবন নাশের ক্ষয়-ক্ষতি করিবে মর্মে ভয়-ভীতি হুমকি ধামকি প্রদান করে বিবাদী চলে যায়।
বাদী রোজিনা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, আনছিুর রহমান আমাদের হেনস্তা করার জন্য শ্যামনগর থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে, থানার নির্দেশক্রমে উভয় পক্ষের শুনানীতে অভিযোগের কোন প্রকার সত্যতা মেলেনি।
এবিষয়ে স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল জলিলের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি, আনিছুর রহমানের অভিযোগের বিষয়ে থানায় বসাবাসি হলে অভিযোগটি মিথ্যা প্রমানিত হয়।
তথ্য অনুন্ধানে জানাযায়, উক্ত আনিছুর রহমান এলাকার দুধর্ষ বাটপার প্রকৃতির ব্যক্তি। তার নামে নারী নির্যাতন সহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে এলাকার নিরীহ ও দুঃশ্বরিত্রা নারীদের তার্গেট করে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সর্বস্ব লুট করা তার নেশা ও পেশা। তিনি বহু বিবাহের অধিকারী। সে তার স্ত্রী রেশমা বেগমকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিকট থেকে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকেন। সে কখনও বাংলাদেশে অবস্থান করে আবার কখনও অবৈধভাবে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে অবস্থান করে থাকে বলে জানা যায়। তার স্ত্রী রেশমা বেগম একজন দুশ্চরিত্রা নারী বলে এলাকাবাসী সূত্রে যানা যায়। তার অত্যাচার থেকে বাচার জন্য স্থানীয় প্রশাসন সহ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আনিছুর রহমানের কাছে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।