জিয়াউর রহমান, শ্যামনগর থেকে:
বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আজ ১ মার্চ সারাদেশ জাতীয় বীমা দিবস পালন হচ্ছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি নির্দেশনায় শ্যামনগর উপজেলা জীবন বীমা কর্পোরেশনের (একমাত্র রাষ্ট্রীয় জীবন বীমা) নেতৃত্বে সরকারি-বেসরকারি সকল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি একতাবদ্ধ ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশনা অনুযায়ী দিবসটি পালন করা হয়।
আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবছর দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে। জাতীয় বীমা দিবস -২০২৩ উপলক্ষে বুধবার (১মার্চ) সকাল ১১টা জীবন বীমা কর্পোরেশনের ইনচার্জ ম্যানেজার মোঃ সাঈদুজ্জামানের নেতৃত্বে জীবন বীমা সহ অন্যান্য বীমা কোম্পানিরা বর্ণাঢ্য র্যালী নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরবর্তীতে উপজেলা হলরুমে এক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস খালেদা আয়ুব ডলি।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বীমা করতে গিয়ে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে, কোন বীমা কোম্পানির কার্যক্রমে কোন সমস্যা নেই, সমস্যা শুধু বীমা করানো কাজে যারা নিয়োজিত থাকেন তারাই, কারন তারা বেশিদিন কাজ করতে পারে না, একটা স্কীম করানোর পর দেখা গেলো তাদের আর পাওয়া যায় না, বিভিন্ন প্রতিকুলতার কারনে। তাই বীমা নিয়ে সমাজের মানুষের ব্যাপক ভীতি কাজ করে। এসব প্রতিবন্ধকতা হতে বীমা কোম্পানী গুলোকে বের হয়ে আসতে পারলে উন্নত বিশ্বের ন্যায় আমরা বীমা করে উপকৃত হতে পারবো।তিনি আরও উল্লেখ করেন আমার পরিবারে একটি রাষ্ট্রীয় জীবন বীমা আছে। যাহার মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। আমি কিছু কিছু বীমার কোম্পানীর দূর্নাম শুনছি যে, তারা মেয়াদ শেষে গ্রাহকের টাকা দিতে পারে না। গ্রাহক হয়রানী হলে বীমার প্রতি মানুষের আস্তা হারিয়ে যাবে। আজকের বীমা দিবসে মেয়াদ শেষ হওয়া একজন গ্রাহকের নগত চেক প্রদান করিলাম। আমরা আজ জাতীয় বীমা দিবসের র্যালী ও আলোচনা সভায় উপস্থিত হওয়ার তথ্য পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বীমার প্রতি মানুষের আস্তা ফিরে আসবে।
সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন বলেন,মানুষের প্রতিটি পদক্ষেপে, প্রতিটি যাত্রায় বীমার প্রয়োজন হয়। তাই বীমা সর্ম্পকে মানুষের মাঝে প্রচারণা এবং আস্থা যাতে ফিরে আসে সেদিক গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। সাতে সাথে সাবইকে বীমা খোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ১৯৬০ সালে ১ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন আলফাহ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে যোগদান করেন। দিনটিকে স্মারণ রাখতে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারী মন্ত্রী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ১মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষনা করা হয়। সে অনুযায়ী শ্যামনগর সহ সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় সহিত দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় জীবন বীমা কর্পোরেশনের ইনচার্জ ম্যানেজার মোঃ সাঈদুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাতে গড়া একমাত্র রাষ্ট্রীয় জীবন বীমা। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রীয় করণ প্রতিষ্ঠান হিসাবে সুনাম ও দক্ষতার সহিত বীমা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একমাত্র (ক) শ্রেণিভূক্ত প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। যাহা জীবন বীমার মাধ্যমে মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে সক্ষক হয়েছে।
অনুষ্ঠান সফল করতে একমাত্র রাষ্ট্রীয় জীবন বীমা কর্পোরেশনের উদ্যোগে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ, আলফা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ, মার্কেন্টাইল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ ও ফারইন্স ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ এর সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ অংশ গ্রহণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অফিস সহকারী মোঃ মাহাবুবুর রহমান, অফিস সহায়ক হালিমা খাতুন, বীমা কর্মী মোঃ জিয়াউর রহমান, বলাই চন্ত্র হালদার, বিজয় কুমার মন্ডল, সুফিয়া খাতুন, ক্ষিদীর চন্দ্র হালদার, মনোজীৎ কুমার মিস্ত্রী, হিরণময় হালদার, গোপাল মন্ডল, শেখ মফিজুর রহমান, জয়ন্তী রানী, মুক্তিলতা বাইন, রেনুকা রানী, শিবপদ সরদার প্রমুখ।