
বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি থেকে:
আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের চেউটিয়া গ্রামের মোস্তফা সানার বাস্তভিটা লুটপাট, ভাঙচুর জবর দখলের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিজ্ঞ সাতক্ষী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়েরকৃত পিটিশন মামলা ২০৪/২৩ এর নির্দেশ মোতাবেক সার্ভেয়ার অমল কান্তিক ঘোষ তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেছেন। প্রতিপক্ষ হায়দার তার জবর দখল কৃত অন্যের বাস্তবভিটা টিকিয়ে রাখতে পেটুয়া বাহিনী দিয়ে তদন্ত কাজ ব্যাহত করার জন্য লিপ্ত থাকে। এমন খবর আশাশুনি থানা পুলিশকে অবহিত করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত এস আই আবুল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইন শৃঙ্খলা সহ সার্বিক বিষয় খোঁজখবর নিয়েছে। তবে হায়দার বাহিনীর লোকেরা মামলার বাদি মোস্তফা সানাকে এরমধ্যে মিথ্যা মামলা সহ জীবন নাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। যে কোন মুহ‚র্তে হায়দার বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত মোস্তফা সানার সাথে রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে।
সারেজমিন জানা গেছে, চেউটিয়া গ্রামের মৃত শিক্ষক এছাক সানার ছেলে মোস্তফা সানা প‚র্বাপার হতে পরিবার পরিজন নিয়ে বাবার রেখে যাওয়া বাস্তভিটায় বসবাস করে আসছে। আভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে মৃত আবুল কাশেম সানার ছেলে হায়দার সানা সাম্প্রতি কোন কারণ ছাড়াই পেশি শক্তির বলে কাপশন্ডা মৌজার বি এস ১৮৮১ ও ১৮৮২ দাগে ৭৫ শতক জমির মধ্যে ২২ শতক জমি রামদা চাইনিজ কুড়াল দেখিয়ে নামমাত্র দখল করেছে। দখলের পর সন্ধ্যা হতে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকাসক্ত উঠতি বয়সে ছেলেরা মাদকের আড্ডায় পরিণত করেছে বলে পার্শ্ববর্তী স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মোতাবে সরেজমিনে তদন্ত করেছি। তদন্ত কালে উভয় পক্ষ সহ স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে সার্বিক বিষয় কাগজপত্র দখল বিষয় আলোচনা করেছি। আলোচনা অন্তে যেটা পেয়েছি তার উপর বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কর্তব্যরত এসআই আবুল হোসেন বলেন বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে উভয় পক্ষকে অবগত করা হয়েছে। কোন পক্ষ ১৪৪ ধারা অবমাননা করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় আছে বলে তিনি জানান।