
স্পোর্টস ডেস্ক :
পর্দা নামতে যাচ্ছে বিপিএলের নবম আসরের। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মুখোমুখি হবে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্স ও ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফাইনালের আগে চলুন জেনে নেয়া যাক টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকিয়েছেন কে কে।
বিপিএলের গেইল ১৪৩টি ও রিয়াদ (ডানে) ৮৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
বিচরণ অনেকটা কমে আসলেও ক্রিস গেইলকে বলা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা। ফর্মের তুঙ্গে থাকা সময়টায় দুনিয়াজুড়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে বেড়িয়েছেন তিনি। এই তারকার ছোঁয়া পেয়েছে বিপিএলও। বরিশাল বুলস, বরিশাল বার্নার্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, চিটাগং ভাইকিংস, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স, ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন তিনি। এই দলগুলোর হয়ে মাত্র ৫২ ম্যাচে ১৪৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন গেইল।
বিপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডটি দখল করে রেখেছেন এক সময়ের দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। গেইলের মতো ঠিক শত ছক্কার ঘরে পা রাখতে না পারলেও তিনি মাত্র ৭ ধাপ দূরে আছেন তিনি। ৮৯ ম্যাচে ৮৮ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯৩টি ছয়। তামিম অবশ্য বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের মালিকও, ২ হাজার ৯৩০ রান করেছেন বিপিএল ইতিহাসে।
ছক্কার হিসেবে তামিমের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। এবারের ফাইনাল দিয়ে তামিমকে ছাড়িয়েও যেতে পারেন তিনি। ‘দেশসেরা ওপেনার’কে পেছনে ফেলতে তার দরকার আর ৩ ছক্কা। ৯১ ছক্কা হাঁকাতে তার লেগেছে ১০৫ ম্যাচ।
কায়েসের পরেই আছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবলখ্যাত মুশফিকুর রহিম। বিপিএলের ইতিহাসে তিনি হাঁকিয়েছেন ৮৭ ছক্কা। ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত মুশফিক খেলেছেন ১১০ ম্যাচ। সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি তারই দখলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৭ ম্যাচ খেলেছেন এনামুল হক।
ছক্কার হিসাবে পঞ্চম স্থানে আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মটা ভালো না থাকলেও এক সময় ফিনিশারের তকমা পেয়েছিলেন এ তারকা। ১০৪ ম্যাচে তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৮৪টি।