নিজস্ব প্রতিবেদক: নাম সর্বস্ব বে-আইনী নিউজ পোর্টালের সম্পাদক সেজে তালা উপজেলাব্যাপী আন্ডারকভার সন্ত্রাসী কাজে জড়িত আছে শামীম খান। তালার একটি বড় দখলবাজ সন্ত্রাসী গ্রুপের বিভিন্ন ফাই-ফরমাশ খেটেই চলে তার।
তালা উপজেলার শামীমের নিজ বাড়ির এলাকা বারুইহাটির পশ্চিমপাড়ায় তার নিজ প্রতিবেশী ও তালা উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় গত তিন বছর পূর্ব পর্যন্ত বেকারই ছিলো শামীম। কখনো সমবয়সী, কখনো অল্প বয়সী বখাটেদের সাথে বিভিন্ন স্থানে আড্ডা দিতো। পৈত্রিক সম্পত্তি বলতে তেমন কিছুই ছিলোনা। যা ছিলো তাও শেষ হয়েছে ওভাবেই। পাড়া প্রতিবেশি যুবকদের সাথে পুরোদিন আড্ডাই ছিলো তার প্রধান কাজ। এভাবেই আড্ডা দিতো তার প্রতিবেশী রেজাউল, আরিফুল সহ অনেকের সাথেই। তবে তার যাতায়ত ছিলো বেশি রেজাউলদের বাড়ি। এর মধ্যে আর্থিক অনটনে রেজাউল ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ নেয়। ভালই চলছিলো তার সংসার। রেজাউলকে না পেয়ে আরিফুলের সাথে চলা শুরু করে শামীম। সে সূত্রে তাদের বাড়িতে যাতায়ত করতে থাকে। স্বামী পাশে না থাকায় শামীমের মিষ্টি কথায় তার সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে রেজাউলের স্ত্রী আসমার। প্রায়ই ভাবি ও বন্ধুকে ফোনে কথা বলতে দেখে সন্দেহ হয় আরিফুলের। সেই সন্দেহের জেরে ভাইকে ঘটনা বরে। ঘটনা জানার পর রেজাউল এ নিয়ে খোজ খবর করে দেখে দুই সন্তানের জননী আসমার সাথে পরকীয়ার জড়িয়েছে শামীম। এ নিয়ে তালা থানায় বেশ কয়েকবার বসাবসিও হয়েছে। কিন্তু তারপরও অবস্থান পরিবর্তন করেনি তারা। ২০১৬ সালে তারা দুজন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। প্রতিবেশির বউ ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় বাড়ি জায়গা দেয়নি নুর উদ্দীন। ফলে পাটকেলঘাটার কুমিরায় একটি বাসা ভাড়া করে থাকতো তারা দু’জন। এ ঘটনার কিছুদিন পূর্বে শামীমের পিতা নুর উদ্দীন একটি জমি বিক্রি করে ৫লাখ টাকা তার ব্যাংকে রাখে। সেই টাকাই ভেঙে প্রায় এক বছর কুমিরার সেই বাসায় ভাড়া থাকে। পরবর্তীতে প্রায় তাদের দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হতো। এভাবে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আসমা বড়বিলায় বাবার বাড়িতে অবস্থান নেয়। সুযোগ পেয়ে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় শামীম। এভাবেই তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। আসমা শামীমের ফাঁদে পা দিয়ে স্বামী সন্তান হারা। সে এখন ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে কাজ করে। এদিকে শামীম বছর তিনেক পূর্বে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে একটি পত্রিকার পরিচয়পত্র নিয়ে সাংবাদিক হয়। সংবাদ লিখতে না পারলেও একের পর পত্রিকা পাল্টাতে থাকে ক্যালেন্ডারের পাতার সাথে মিল রেখে। এরই মধ্যে একটি মানবাধিকার নামধারী চক্রের সাথে পরিচয়ে সে হয়ে ওঠে মানবাধিকার কর্মী। অন্যদিকে পরকিয়ার কারণে গড়ে ওঠা রেজাউল ও আরিফুলদের সাথে পাড়ার শত্রুতার জেরে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যার প্রমান হয় অতিউৎসাহি হয়ে একই তথ্য বার বার উপস্থাপন করে।
নীতিমালার সকল নিয়ম কানুনের বালাই না রেখে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে মানবাধিকার সংবাদ নামের একটি নিউজ পোর্টাল খুলে বসে। যোগ দেয় তালার বিশাল একটি জমি দখল ও সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের সাথে। গোপনে তাদের পক্ষে বিভিন্ন সময় মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। আন্ডারকভারে থেকে এভাবেই চলে তার। বাবার আরও একটি জমি ছিলো সেটি বিক্রি করে একটি বাড়ি করেছে। এখন বাবার জমি বলতে ভিটা বাড়ী ছাড়া আর কিছুই নাই। বিভিন্ন সংবাদ টার্গেট করে যা পায় তাতেই ভালোভাবে চলে যায় তার। অন্যদিকে তালার একজন ঠিকাদার তার পোর্টাল ও অফিস খরচ বহন করে।