নিজস্ব প্রতিবেদক: একাধারে বিতর্কিত সংখ্যালঘু নেতা, ভূমিহীন নেতা, রাজনীতিক ও সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ। অন্যদিকে তিনি তথ্য সন্ত্রাসী, মিডিয়া সন্ত্রাসী, দেশ বিরোধী, সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টিকারী, চাঁদাবাজ, মামালবাজ এবং পর সম্পদ লোভী। চাঁদাবাজিতে শীর্ষ স্থান দখল করেছেন। আবার কোন কোন সিন্ডিকেটের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে কাজ করছেন। সকল প্রকার অবাঞ্ছিত ঘটনা সৃষ্টিতে তার কোন জুড়ি মেলাভার। মামলাবাজ সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ নিজে এবং তার অনুগত ভক্তদের দিয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিক সহ সাধরণ মানুষের নামে মামলা করালেও তাদের জেল-হাজত খাটাতে পারেননি। তা না পারলেও তিনি নিজে জেল-হাজত খেটেছেন কয়েকবার। তার আলোচিত অপকর্মের ফিরিস্তি কয়েক পর্বে প্রকাশিত হবে। আজ তার প্রথম পর্ব…..
সাতক্ষীরায় বিতর্কিত একটি নাম রঘুনাথ খাঁ। তিনি অনৈতিক কাজে এমন পারদর্শী হয়ে উঠেছেন যে তার গুরুদেরও ছাড়িয়ে গেছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছেন বিভিন্ন প্রকার ঘটনার মধ্য দিয়ে। তাকে নিয়ে তার গুরু সাংবাদিকরাও রীতিমতো উদ্বিগ্ন। আর তার পরিবারের সদস্যরাও তার হাতে হয়েছেন আক্রান্ত। এসব তথ্য পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় পরিবেশিত সংবাদ ও আদালতের দায়েরকৃত মামলার একাধিক আর্জি থেকে। পত্রিকাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনকন্ঠ, যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক সত্যপাঠ, সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৃষ্টিপাত, দৈনিক যুগের বার্তা ও দৈনিক আলোর পরশ। ভারত থেকে সাতক্ষীরায় ফিরে তালার গোপালপুর ও সদর থানার ছাতিয়ানতলা গ্রামে দু’দুটো বিয়ে করেছেন। তার ছোট স্ত্রীর ভাই মহিতোষ হাজরা জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত। এই মহিতোষ হাজরা একাধিক মামলার আসামী। রঘুনাথ খাঁর আশ্রয়ে থেকে বিভিন্ন অপকর্ম করে।
পত্রিকাগুলোর বিবরণ থেকে জানা যায়, রঘুনাথ খাঁ’র বাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে। বাবা মদন মোহন খাঁ। মাতা ঝর্ণা রাণী খাঁ। রঘুনাথ দেশ ত্যাগ করে ১৯৭৮ কিংবা ১৯৭৯তে চলে যান ভারতে। সেখানে নাগরিকত্ব নেন। ২০ থেকে ২২ বছর বসবাস করেন। বিয়ে করে ঘর সংসার করেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত থাকার কারণে নিজের জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াতে থাকেন। এক সময় ভারত ছাড়তে বাধ্য হন। ২০০২ সালের দিকে একদিন তার স্ত্রীকে ফেলে রেখে পালিয়ে ফিরে আসেন নিজ পৈতৃক ভিটায়। সাথে নিয়ে আসেন চার পাঁচ বছর বয়সী তার সন্তানকে।………. (২য় পর্বে চোখ রাখুন)