
ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিবেদক: বিয়ের এক বছর না পেরোতেই বৈশাখী দেবনাথ (২০) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। কীটনাশক পানের ১ মাস ৩ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হতভাগিনী গৃহবধুর পারিবারিক সুত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
হাসপাতাল ও স্থানীয় একাধিক দায়িত্বশীল সুত্রে জানা যায়, এক বছর আগে তালা উপজলার কানাইদিয়া গ্রামের শ্যামকৃষ্ণ দেবনাথের মেয়ে বৈশাখী দেবনাথের সাথে ডুমুরিয়া উপজলার চিংড়া গ্রামের গৌতম দেবনাথের ছেলে প্রবীর নাথের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ওই নববধুর স্বামী ও তার শাশুড়ী অত্যাচার করতে থাকে। এক পর্যায় ১০ লাখ টাকার চুক্তিতে নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে কাবিন তৈরি করা হয়। এর পরও নববধূর উপর থেকে নির্যাতন বন্ধ হয়নি। ২ মাস আগে আবারও মারপিট করে নববধূকে বাপের বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়া হয়। পরে আবারও আর নির্যাতন করা হবে না বলে নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে মুচলেকা দিয়ে পাষন্ড স্বামী গৃহবধু বৈশাখীকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এর পরও আবার অমানবিক নির্যাতন করা হয় নববধূ বৈশাখীর উপর। এসব ঘটনার বর্ননা দিয়ে গৃহবধুর বাবা শ্যামকৃষ্ণ দেবনাথ ১০ ডিসেম্বর ডুমুরিয়া থানায় একটি অভিযাগ দায়ের করেন। তাতেও কোন প্রতিকার না হওয়ায় এক পর্যায় অভিমান করে গত ২৬ নভেম্বর হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে গৃহবধু বৈশাখী। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় খুলনা মেডিকল কলজ হাসপাতালে। সেখানে ১ মাস ৩ দিন মত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার সকালে বৈশাখী দেবনাথ না ফেরার দেশে পাড়ি জমায়।
এ ব্যাপারে জানতে গৃহবধুর শ্বশুর গৌতম দেবনাথের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ডুমুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মুক্ত রায় চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি ।