
আমজাদ হোসেন মিঠু, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগরে কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ বালি উত্তোলন। এলাকার একশ্রেণীর বালু খাদক ও সঙ্গবদ্ধ দালালরা প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী এবং স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিদারসে চালিয়ে যাচ্ছে বালু উত্তোলন। হাইকোটের ১৬৩৯২/২০১৭ নং রীট পিটিশন আদেশ অমান্য করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যহত রয়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে। বিস্তীন্ন এলাকা পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে গেজেটে ঘোষনা করা হয়েছে ৯ টি উপজেলা তার শ্যামনগর উপজেলা রয়েছে। ১৪২৪ ও ১৪২৫ সাল থেকে শ্যামনগর উপজেলায় কোন বালু মহল ঘোষনা না হলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। শ্যামনগর উপজেলার পদ্মাপুকুর ইউনিয়ন আওতাধীন খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আশাশুনি উপজেলার কাজে ব্যবহার হচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিকে ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে পদ্মাপুকুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তপন বাবুর নির্দেশে অফিসের স্টাফ যেয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের বালু সহ কার্গো জব্দ করেন। কিছুক্ষণ পরে পদ্মাপুকুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ফোন আছে বলে বালু উত্তোলনের কার্গোটি ঘটনাস্থলে ছেড়ে দিয়ে চলে আসতে বলে । বর্তমান এখনো বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রয়েছে খোলপেটুয়া নদীতে। এভাবে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে শ্যামনগরে বালু উত্তোলন। নদী ভাঙ্গন এলাকা থেকে এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে উপকূলীয় বেড়ীবাধ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। যার কারনে প্রতি বছর বিভিন্ন জলোচ্ছ্বাসে বেড়ীবাধ ভেঙ্গে হাজার হাজার মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন আশাশুনি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের জন্য কিছু বালু দিয়েছিলাম পরবর্তীতে আবার অবৈধভাবে বালু তুলছিলো আমরা কার্গো জব্দ করেছি। কিন্তু বাস্তবে কার্গোটি জব্দ হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে বালুর কার্গো জব্দ করে আবার ছেড়ে দিয়ে আসার ব্যাপারে পদ্মাপুকুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তপন বাবুর কাছে জানতে চাইলে বলেন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ফোন রয়েছে এজন্য ছেড়ে দিয়েছি। এ ঘটনায় বিভাগীয় কমিশনার সহ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সুধীজন।