আমজাদ হোসেন মিঠু, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগর প্রতিনিধঃ গত ২৮ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলার ৫টি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে ভিডিপি র দলনেতা নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত ভিডিপি দলনেতা মোস্তফা মাসুদ আলী, আনছার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহা পরিচালক, চেয়ারম্যান দুর্নীতি দমন কমিশন সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে গত ২৮/১১/২০২২তারিখে তাকে অবসরের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীতে নতুন দল নেতা নিয়োগের সময় বলা হয় অবসরপ্রাপ্ত দল নেতাদের যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী থাকলে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। গত ২৮/১১/২০২২ তারিখে সাতক্ষীর ৫টি উপজেলা যথা সাতক্ষীরা সদর, শ্যামনগর, কলারোয়া, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার মোট ২২টি ইউনিয়নের ভিডিপি’র ২২জন দলনেতা বাছাই করা হয়। আটুলিয়া ইউনিয়ন থেকে ৪ জন প্রার্থী হাজির হলেও তার প্রার্থী নির্বাচিত হন। গত ৩ ডিসেম্বর তাকে ট্রেনিং এর জন্য জেলা অফিসে ডাকেন। জেলা অফিসে গেলে, জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোরশেদা খানম ২ লক্ষ্ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় আব্দুল্লাহ আল মামুনকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন।
এছাড়া বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে অবসর প্রাপ্ত সামছুর রহমান জানান,আমার পোতার (নাতি) জন্য উপজেলা ভিডিপি’র কর্মকর্তা নার্গিস আপা আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে, এবং বলে উপর মহলে দিতে হবে। টাকা দিতে না পারায় আমার পোতার চাকুরি হয়নাই। টাকার বিনিময়ে ট্রেনিং বিহীন অদক্ষ ভবেশ মন্ডল কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার ২২টি ইউনিয়নের প্রত্যেক প্রার্থীর নিকট থেকে উপর মহলের দোহাই দিয়ে ২ লক্ষ করে টাকা নেওয়া হয়েছে। টাকায় নিয়োগ দেওয়া প্রার্থীরা অধিকাংশ খাটো, অদক্ষ ও ট্রেনিং বিহীন। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিযোগকারীরা।
এ বিষয়ে জেলা কর্মকর্তা মোরশেদা খানম ও উপজেলা কর্মকর্তা নার্গিস বেগমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে বিষয়টি সত্য নয় বলে এড়িয়ে যান।
সাতক্ষীরার ২২ ইউনিয়নে ভিডিপি’র দলনেতা নিয়োগে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট