নিজস্ব প্রতিবেদক: দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ই-ফ্রড টিম। গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক মো. মোর্তজা কামালকে (৪৫) সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা আটুলিয়া ইউনিয়নের হাওয়ালভাঙ্গী গ্রামের মৃত আহম্মদ সরদারের ছেলে। গত ৯ নভেম্বর প্রতারক মো. মোর্তজা কামালকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজমের সদস্যরা। সে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার এ কাদের কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তার পরিবার জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারের সময় মোর্তজা কামালের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২টি ফোন, ১৪টি সিম কার্ড এবং ৫ হাজার টাকা জব্দ করেছে সিটিটিসি। সিটিটিসি আরও জানায়, কিছু দিন ধরে একটা প্রতারকচক্র দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের সরকারি ও ব্যক্তিগত নম্বরে কল করে তাদের নামে দুদকে অভিযোগ আছে বলে টাকা দাবি করে আসছিল। মামলাসহ চাকরির ক্ষতি করার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন বিকাশ এবং নগদ নম্বরে টাকা গ্রহণ করছিল।
এই প্রতারকচক্র গত ১০ আগস্ট একজন সরকারি কর্মকর্তাকে তার অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরে কল করে নিজেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তার কাছে নির্বাচন কর্মকর্তার অভিযোগ তদন্তাধীন আছে বলে জানায়। মামলা থেকে রক্ষা এবং চাকরি বজায় রাখতে চাইলে তাকে টাকা দিতে নির্দেশ করেন। টাকা প্রদানের জন্য বিকাশ নম্বরও প্রদান করেন। বিষয়টি নিয়ে তার সন্দেহ হলে সরকারী ওই কর্মকর্তা টাকা প্রদান না করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা দায়ের করেন।
সিটিটিসি আরও জানায়, মামলাটি আদালতের নির্দেশে সিটি সাইবার ক্রাইম বিভাগে তদন্তভার হস্তান্তরিত হলে সিটি সাইবার ক্রাইম বিভাগের ই-ফ্রড টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারকচক্রটি শনাক্ত করে। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে এডিসি নাজমুল বলেন, ‘অনলাইন বা অফলাইনে ভুয়া পরিচয়ে যে কেউ, যে কাউকে ব্ল্যাকমেইল করে অবৈধ পথে অর্থ আয়ের প্রচেষ্টাকে রুখে দিতে আমরা কাজ করছি। ভিকটিমদের আমাদের কাছে রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।