
নিজস্ব প্রতিবেদক: পূর্ব বিরোধের জেরে ফিংড়ী গোবিন্দপুরে গৃহবধূকে মারপিটের অভিযোগে থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর স্বামী মো. মুনায়েম হোসেন। সে ফিংড়ী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুর আনু. ২ টার দিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকা থেকে ওই মামলার ৪নং আসামী একই গ্রামের হরিপদ সরকারের ছেলে গৌতমকে গ্রেপ্তার করেছে সাতক্ষীরা থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তন্ময় কুমার বসু।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন জমিজমা নিয়ে আহত গৃহবধূর স্বামী মো. মোনায়েম হোসেন এর সাথে অভিযুক্তদের বিরোধ চলছি। এনিয়ে অভিযুক্তদের নামে ইং-৩০/১১/২০২০ তারিখে সাতক্ষীরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন ভুক্তভোগীরা। ইং-১৪/১০/২০২২ তারিখে ভুক্তভোগী তার রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে বাথরুম নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছি। এমতাবস্থায় দুপুর আনু. ২ টার দিকে একই এলাকার মৃত. ভুবন চন্দ্র সরকারের ছেলে শিবপদ সরকার, হরিপদ সরকার ও নিরাপদ সরকার এবং হরিপদ সরকারের ছেলে গৌতম সরকারসহ অজ্ঞাত ৫/৬জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনধিকারভাবে প্রবেশ করে নবনির্মত বাথরুম ঘর ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়। ওই সময়ের পূর্বে জুম্মার নামাজের জন্য মসজিদে থাকায় বাড়িতে কোন পুরুষ ছিল না। তখন ভুক্তভোগী মোছা. আঁখি ইসলাম, আইয়ুব হোসেন এর স্ত্রী তাছলিমা খাতুন, আব্দুল হামিদের স্ত্রী সাজেদা খাতুন বাধা দিলে উপরিউক্ত অভিযুক্তরা তাদের উপর হামলা করে পিটিয়ে হাড়ভাঙ্গা গুরুতর জখম করে। সেই সময়ে আঁখি ইসলামকে শ্লীলতাহানি এবং তার গলায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্ণেও চেইন ছিনিয়ে নেয় গৌতম সরকার। এছাড়াও তার দুই মাস বয়সী শিশুকন্যাকেও আঘাত করেন। তাদের ডাক চিৎকার শুনে মসজিদ থেকে দ্রুত বাড়িতে আসলে শিবপদ সরকার এর হাতে থাকা লোহার রড় দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগীর স্বামী মো. মোনায়েম হোসেনকে আঘাত করলে তিনি সরিয়ে নিলে তার ডান হাতে লেখে মারাত্নক ফোলা জখম হয়। তখন ভুক্তভোগীদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে অভিযুক্তরা চলে যাওয়ার সময় তাদের হুমকি প্রদর্শন করে বলে বেশি বাড়াবাড়ি করলে পরিনাম আরো ভয়াবহ হবে, ফাকা পাইলে তোদের জীবন শেষ করে ফেলবো, হত্যা করে ভারতে চলে যাবো।