
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নামসর্বস্ব সুন্দরবন এ্যাপোলো হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হওয়ায় ওই হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আবার পদ সর্বস্ব চেয়ারম্যান, সনদ বিহীন হাতুড়ে ডাক্তার শাহাজান সিরাজ (৩৭) এর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠেছে। এ যেন কেঁচো খুড়তে সাপ বের হলো। শ্যামনগর সরকারী মহাসীন ডিগ্রী কলেজের ২০ গজ দূরে দক্ষিণ পাশে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় অবস্থিত সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কোন প্রকার সরকারি অনুমোদন না থাকার পরেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বহাল তবিয়াতে ক্লিনিক খুলে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান শ্যামনগর সুন্দরবন এ্যাপোলো হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিস্টক সেন্টার। হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ফিজিওথেরাপিস্ট শাহজাহান সিরাজ ডাক্তার না হয়েও তাহার নামের পাশে সংযুক্ত করেছেন ডাঃ মোঃ শাহাজাহান সিরাজ, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও পরিচালক, কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান, ফিজিক্যাল ও থেরাপি বিভাগ কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।
নিজে এম.বি.বি.এস ডাক্তারী পাস না করে ভূয়া ডাক্তারী প্যাড তৈরী করে মনগড়া কাল্পনিক নেমপ্লেট ও পদবী ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে কয়েক বছর যাবত স্থানীয় কিছু সংখ্যক জালিয়াতি, টাউট, বাটপার ভুঁইফোড় তথা কথিত পাতি নেতা, কালোবাজারীদের ম্যানেজ করে বহাল তবিয়াতে সুন্দরবন এ্যাপোলো হাসপাতাল নামক ক্লিনিক খুলে রমরমা ক্লিনিকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসার অন্তরালে মাদক সেবন, উঠতি বয়সী নারীদের অনৈতিক কাজ করে চলে এই ধোকাবাজ সীমাহীন প্রতারক বহুরুপী হাতুড়ে ডাক্তার শাহাজান সিরাজ। সুন্দরবন এ্যাপোলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার যেখানে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আবার চেয়ারম্যান ফিজিও থেরাপিস্ট শাহাজান সিরাজ সমাজের মানুষকে এ অল্প বয়সী যুবক এতই ভয়ঙ্কার ও প্রতারক যে, নিজ ডাক্তার না হয়ে তার নামের পাশে সংযুক্ত করেছে ডাঃ মোঃ শাহাজান সিরাজ, কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান ফিজিক্যাল মেডিসিন ও থেরাপি বিভাগ, কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা। যাহা সম্পূর্ণভাবে ভুয়া এবং বানোয়াট। অশিক্ষিত বহুরূপী সনদ বিহীন ভুয়া হাতুড়ে ডাক্তার শাহাজান সিরাজ তার জীবন দশায় কোনদিন ডাক্তারের কমপাউন্ডারও ছিল না বরং চশমখোর মারখেড়ি। তিনি আবার নিজেকে মানবাধিকার কর্মী দাবি করে নিজেই মানবাধিকার পরিপন্থী কাজ করে বেড়ায়।
তথ্য সংগ্রহকালে তার সম্পর্কে জানাযায় যে, শ্যামনগর কৈখালী ইউনিয়নের জয়াখালী গ্রামের মোকবুল হোসেন মোড়লের পুত্র শাহাজান সিরাজ। ভেটখালী এ.করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করে অর্থের অভাবে এইচ.এস.সি ভর্তি হতে পারছিলো না। সে কারনে নূরনগর ইউনিয়নের দুরমুজখালী গ্রামের সাবেক মেম্বর নজরুল ইসলামের কন্যাকে ২০ লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়ে বিবাহ করে এবং ওই টাকায় পড়াশুনো করতো। বছর তিনেক পর ওই মেয়েকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়ে রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আকবার আলীর কন্যাকে ৩০ লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়ে বিবাহ করে। আকবার আলীর কন্যার গর্ভে এবং হাতুড়ে ডাক্তার শাহাজান সিরাজের ঔরষে ১টা কন্যা সন্তান হয়। যাহার বয়স ৯ বছর বর্তমানে ২য় শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। হাতুড়ে ডাক্তার শাহাজান সিরাজ ছোট থেকেই সীমাহীন প্রতারক, ধাপ্পাবাজ, চোগলখোর, নারীলোভি, মাদক সেবনকারী, চিটার প্রকৃতির। তাহার সীমাহীন অত্যচারে ও বহু নারীর সাথে চলাফেরার কারনে ওই আকবার আলী চেয়ারম্যানের কন্যাকে ও সে তাড়িয়ে দেয়। তাহার অত্যাচারে তাহার পরিবারের লোক ও প্রতিবেশীরা অতিষ্ট। সর্বশেষ হাতুড়ে ডাক্তার শাহাজান সিরাজ ঢাকাতে এক বয়স্ক নারীকে কোটি টাকায় রফাদফায় বিবাহ করে এবং ঢাকায় স্ত্রীর এক আত্মীয়ের চলমান ঢাকাতে সুন্দরবন এ্যাপোলো নামক হাসপাতাল যাহা ঢাকায় দূর্নীতি ও নারী ঘটিত কারনে সরকার সিলগালা করে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকা সেই মালামাল নিয়ে শ্যামনগরে ওই নামে ক্লিনিক হাসপাতাল করে এবং এলাকার কিছু অসাধু নেতা প্রশাসন ও টাউটদের ম্যানেজ করে হাসপাতাল নামে কোসাইখানা চলে। হাসপাতালের অন্তরালে হাতুড়ে ডাক্তার শাহাজান সিরাজ সুদের ব্যবসা, মদের ব্যবসা, নারী ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে, যাহা ধরাছোয়ার বাহিরে।
তাছাড়া গত ইং- ৩০ জুন ২০১৯ তারিখ রবিবার জয়াখালী গ্রামের সমাজ সেবক মৃত আমিন উদ্দীন মোড়ল এবং তার ৬পুত্র ও ১ কন্যা মিলে “কৈখালীর ১১৬ বছরের আমিন উদ্দীনকে ঔষধ খাইয়ে জমি লিখে নিলেন পৌত্র” শিরোনামে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হাতুড়ে ডাক্তার শাহাজান সিরাজের দিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে। যাহা বিভিন্ন পত্রিকায় সাতক্ষীরা প্রকাশিত হয় এর ওই হাতুড়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে সাতক্ষীরা কোর্টে একটি প্রতারনার মামলা রুজু হয়। হাতুড়ে ডাক্তার শাহাজান সিরাজের এহেন কর্মকান্ডের ধিক্কার জানিয়ে দ্রুত তাহার কসাইখানাটি বন্ধ পূর্বক তাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এলাকাবাসী ও সুধী সমাজের ব্যক্তিগর্বরা।