
স্টাফ রিপোর্টার: সদর উপজেলার দক্ষিণ আলিপুরে পিতা কর্তৃক নিজের শিশু সন্তানকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে পুত্রের নানী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার দক্ষিণ আলিপুর গ্রামের মৃত আ: গফ্ফারের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন (৫১) মেয়ে রেকসোনা খাতুনের সাথে সদর উপজেলার পদ্মশাঁখরা গ্রামের মৃত জিয়াদ আলীর পুত্র কারিমুল ইসলাম(৪০)সাথে বিয়ে হওয়ার প্রায় ১২বছর পূর্বে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাদের ঘর সংসার করা কালে একটি পুত্র সন্তান হয়। পুত্র সন্তানের নাম রাকিবুল হোসেন (১৩)। তালাকের পর রাকিবুল তার নানীর নিকট থাকে। অভাবের কারনে রাকিবের মা বাহিরে কাজ করে। কিন্তুু রাকিবের পিতা রাকিবের কোন খোঁজ খবর নেয় না। কোন খরচ দেয় না। নানীর আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাকিবুল মাঝে মধ্যে ভোমরা স্থলবন্দরে যেয়ে পিয়াজ কুড়িয়ে বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে সংসার চালায়। রাকিবের বাবা কারিমুলও ভোমরা স্থল বন্দরে সর্দারের কাজ করে। রাকিবুল ভোমরা স্থলবন্দরে কাজ করায় তার বাবা রাকিবের নানীর উপর ক্ষিপ্ত হয়। গত ২মাস পূর্বে রাকিবের বাবা রাকিবকে তার বাড়িতে নিয়ে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখে। তখন রাকিবের নানী স্থানীয় সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। তারপর তার নানী সেখান থেকে রাকিবকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। গত ইং- ১৭/০৯/২০২২ তারিখে রাকিব ভোমরায় পেয়াঁজ কুড়ানোর পর রাত আনু: ৯টার সময় রাকিবের বাবা রাকিবকে ভোমরা স্থলবন্দরে পেয়ে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করে জখম করে। মারধরের সময় রাকিবের বাবা কারিমুল লোক দ্বারা রাকিবুলকে খুন করে তার নানীকে ফাঁসিয়ে মামলা করে জেল হাজত খাটাবে বলে হুমকি দেয়। রাকিবুলের নানী রাকিবুলকে রবিবার ১৮/০৯/২২ সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়। এ ব্যাপারে রাকিবুলের নানী মনোয়ারা খাতুন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।