
তালা প্রতিনিধি: তালা উপজেলার পল্লীতে বারুইহাটি গ্রামের অবুঝ আবির হোসেন চলে যাওয়া মাকে ফিরে পেতে কান্না জড়িত কন্ঠে আকুতি জানিয়েছেন। শনিবার ১৩ আগষ্ট সকালে কান্না জড়িত কন্ঠে এমনি আকুতি জানিয়েছেন উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের হাবিবুল্লাহ মোড়লের অবুঝ ছেলে আবির হোসেন ( ১১) তিনি তার মাকে চাই। কোথায় চলে গেছে মা । মাকে ছাড়া থাকবো কেমন করে।মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমাতে চাই আবির হোসেন।
তালা বারুইহাটি গ্রামের হাবিবুল্লাহ মোড়লের সাথে উপজেলার জিয়ালা নলতা গ্রামের জুলফিকার আলী (খোকন) মোড়ল এর মেয়ে সেলিনা বেগম এর সাথে আনুমানিক ১২ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয় এবং হাবিবুল্লাহ ঔরশে সেলিনার গর্ভে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয় নাম আবির হোসেন।
সুত্র মতে জানা গেছে, ৫ই জানুয়ারি ২০২২ ইং সকাল ১০টার সময় স্বামী হাবিবুল্লাহ বাড়িতে না থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে কবিরাজের বাড়ি যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন সেলিনা । বিকাল পার হয়ে সন্ধ্যা হলে যখন সে বাড়িতে না ফিরে আসে তখন স্ত্রী কে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন স্বামী। অনেক খুজা খুজির পরে জানতে পারেন স্ত্রী সেলিনা তার বাবার বাড়ি গিয়েছে। তাৎক্ষণিক ফোন মারফত সেলিনার সাথে কথা বললে সে বলে রাত হয়ে গেছে আমি আগামি কাল আসবো। কিন্তু সেলিনা তার পরদিন আসলো না এবং তৃতীয় দিনে অতিবাহিত হওয়ার ফলে শশুর বাড়িতে চলে যান স্বামী। যাওয়ার পর সেলিনা তার মা ও বাবা মিলে হাবিবুল্লাহকে বাড়িতে ঢুকতে না দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি হতে তাড়িয়ে দেন। নিরুপায় স্বামী হয়ে বাড়িতে এসে দেখেন গরু বিক্রি করা ৮০,০০০ হাজার, জমি বন্ধক রাখা ৩০,০০০ হাজার, ও ছেলের উপবৃত্তির ২,০০০ হাজার টাকাসহ তার ব্যবহৃত সোনার কানের দুল একজোড়া, হাতের বালা এক জোড়া, গলার চেন, অনুমান ৮০,০০০হাজার টাকার নিয়া চলে গেছে। পরবরর্তীতে বিষটি শ্বশুর ও চাচা শ্বশুর দের জানালে তারা বলে দেখছি কি করা যাই।
এ বিষয়ে হাবিবুল্লাহ মোড়ল জানান তার শশুর শাশুড়ি তাকে জানান, জিয়ালা নলতা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য রিয়াজুল ইসলাম এর মাধ্যমে আলোচনা হয় মিমাংসা করে সেলিনা কে বাড়িতে পাঠিয়ে দেবে। কিন্তু সু-কৌশলে সেলিনার মা ও বাবা এই অর্থ আত্মসাৎ করার জন্যে আমার স্ত্রীকে কোথায় পাঠিয়ে দিয়েছে তার কোন খবর পাচ্ছি না। মোবাইল ফোন নাম্বার বন্ধ রয়েছে। এবিষয় হাবিবুল্লাহ তালা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন যাহার নাম্বার ১০০০ তারিখ :-২২-০৬-২০২২ ইং।