মোস্তাফিজুর রহমান: ঘেরের ভেড়িবাঁধ নিয়ে বিরোধের জেরে আনছার আলি নামক এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা বাইপাস রোড সংলগ্ন জালতার মাঠে ঘেরের ভেড়িবাঁধে রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ছেলে আঃ রাজ্জাক সাতনদীকে জানান, ঘেরের পূর্ব বিরোধের জেরে আমার সাথে মোঃ জুয়েল হোসেন ও তার ছোট ভাই মোঃ রুবেলের হোসেনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তখন তারা আমাকে মারতে থাকে। এসময় জুয়েল ও রুবেল আমার পায়ে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে। ফলে মাটিতে পরে যাই। আমি মাটিতে পরে গেলে জুয়েল হোসেন ও রুবেল অমানুষিক ভাবে আমাকে লাথি কিল ঘুষি মারতে থাকে। তারা আমার বুকে ও পিঠে হাতুির দিয়ে আঘাত করে। এক সময় আমার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি দেয় তারা। মাথা ফেটে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়েলে তারা আমাকে মৃত ভেবে একটু দ‚রে চলে যায়।
রাজ্জাক আরও বলেন, কিছুক্ষণ পর আমার বাবা আনছার আলি(৭৫) আমাকে ডাকতে এসে দেখে আমি মাটিতে পড়ে আছি। আমার বাব আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্ন করতে থাকে। একটু পর মটর সাইকেলে করে আলি হোসেন ও তার বড় ছেলে জুলফিকার আসে। আলি হোসেন বলে ওদের শেষ করে দে, পাঁচ কোটি টাকা না হয় লাগবে। একথা শোনার পর আলি হোসেনের বড় ছেলে জুলফিকার আমার বাবা আনছারের বুকে লাথি মারে। বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা তিন ভাই জুয়েল, জুলফিকার ও রুবেল ছুটে এসে কিল, ঘুষি, মাথায় বুকে মারতে থাকে ও হাতুড় দিয়ে বাবার মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করে।
বাবাকে মারার সময় আমি ওদের পা জড়িয়ে ধরে বলি, আমার বাবা কে মারিস না, আমাকে মেরে ফেল। একথা শোনার পর জুলফিকার, জুয়েল ও রুবেল আমার মুখে লাথি মারে। আমি জ্ঞান হারাই। আমাকে ও আমার বাবাকে মৃত ভেবে জুয়েল, জুলফিকার, রুবেল ও আলি হোসেন চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আনছার আলীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্ন চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা করার পরে ডাক্টার জানাই আনছার আলি কে ভারি কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছিলো যার ফলে রক্তনালি ছেড়ে ব্রেনে রক্ত জমাট হয়ে গেছে। অবস্থা খুব খারাপ। এদিকে তিনদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার পর গত রোববার সকাল ৬:১৫ মিনিটের দিকে আনছার আলি মারা যান। পরিবারের সদস্যরা বৃদ্ধ আনছার আলি (৭৫) কে নির্মমভাবে খুন করার শাস্তি হিসেবে খুনি জুয়েল, জুলফিকার, রুবেল ও আলি হোসেনের ফাঁসি চান।
লাবসায় পূর্ব বিরোধের জেরে নিহত এক, আহত আরও একজন
পূর্ববর্তী পোস্ট