
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেবহাটার পরিচিত ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের ছেলে ও পারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর মোঃ রফিকুল ইসলামের ভাতিজা। এছাড়াও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট পদে আছে পরিবার পরিজনের মধ্যে অনেকেই আছে। অথচ নিজের আছে আলাদা পরিচয়। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির প্রথমদিকে যখন সবাই করোনাক্রান্তদের লকডাউনে একঘরে করার জন্য বিভিন্ন মহলে ফোনে যোগাযোগ করছে, তখন মানবতার হাত বাড়িয়ে দৌড়েছেন লকডাউনকৃত বাড়িগুলোয়। পৌছে দিয়েছেন জরুরী নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। এ ছাড়াও নিয়মিতই চালিয়েছেন মাক্স, স্যানিটাইজার সহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম। বলছি দেবহাটার ছাত্রলীগ কর্মী জিএম আশিকের কথা।
খুলনা সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় থেকেই ছাত্রলীগের আদর্শেজড়িয়ে যান। তৎকালিন কলেজটির ছাত্রলীগের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন তিনজন ছাত্র নেতা। তাদের মধ্যে নাজিম মোড়ল অন্যতম। নাজিম মোড়ল বর্তমানে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন। নাজিম মোড়লের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আশিক ইন্টারমিডিয়েট থেকে আমাদের সাথে ছাত্রলীগের মতাদর্শের সৈনিক ছিলো। দলীয় যে কোন প্রোগ্রামে তার স্বতস্ফ‚র্ত অংশগ্রহন ছিলো চোখে পড়ার মত। সে এখন নিজ জেলায় অবস্থান করে। কিন্তু তার অভাববোধ আমাদের কাছে সবসমই হয়।
দেবহাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও দেবহাটা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ সাতনদীকে জানান, জিএম আশিক একজন ভালো ছেলে। সে ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতো। সে ছাত্রলীগ কর্মী।
দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সুমন সাতনদীকে জানান, সবুজ ভাইয়ের সময় থেকেই আশিককে দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখেছি। আমাদের সময়েও সে ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, আরও আছে। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই জি এম আশিক নিজ ইউনিয়নের কিশোর ও যুবাদের সাথে নিয়ে একটি সংগঠনের মাধ্যমে নিজ ইউনিয়নের সামাজিক উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিশোর যুবাদের এ সংগঠনটির নাম দেবহাটা হেল্প ব্যাংকিং। অসহায় দুঃস্থ্য মানুষদের সহায়তা করাই প্রতিষ্ঠানটির ম‚ল উদ্দেশ্য। ২০১৮ সালের ১৬ জুন পারুলিয়ার বাসিন্দা ও বর্তমান এলজিইডির কর্মকর্তা মোঃ আকবর হোসেনের হাত দ্বারা প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। তারই দিক নির্দেশনায় পরিচালিত হত প্রতিষ্ঠানটি। একাধিকবার অস্বচ্ছলদের মাঝে ঈদ সামগ্রী, ইফতার সামগ্রী দেয়া হয়েছে। স্কুলের অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের বই, খাতা, কলম দেয়া হয়েছে। করা হয়েছে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও রক্তদান কর্মস‚চিও। মেডিক্যাল ক্যাম্পও করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয় কিশোর-যুবাদের ব্যক্তিগত অর্থায়নে। আর্তমানবতার সেবায় সদা জাগ্রত থাকার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন আশিক।