ফেরদৌস আহমেদ :
কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের মোঃ নুরুজ্জামাল গাজী (বাবু) এর অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া কন্যা নাজমুন নাহার সাথীর একই উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের উচ্ছেপাড়া গ্রামের মোঃ শামসুর রহমানের ছেলে ইব্রাহিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়।
এ ঘটনায় সাথীর মা নুরনাহার বেগম বাদী হয়ে গত বছরের ২ এপ্রিল কালিগঞ্জ থানায় ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে তার ১৩ বছরের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণের মামলা দায়ের করেন। শুরু হয় পুলিশের তৎপরতা। পুলিশ বাগেরহাট থেকে ভিকটিম সাথীকে উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেপ্তার-পূর্বক আদালতে প্রেরণ করেন। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হন ইব্রাহিম।
ইব্রাহিম দেশের চলমান আইনের প্রতি সম্মান রেখে ভাবলো, সাথীর বয়স ১৮ বছর হলে দুই পরিবারের সম্মতিতেই তারা এক হবে। কিন্তু বিধি বাম, সাথীর পরিবারের কাছে সবই সম্ভব। দেশের আইন যেন তাদের হাতেই পরিবর্তিত হয়। মাত্র ৭ মাসের ব্যবধানে ১৩ বছরের নাবালিকা সাথী হয়ে গেল ২০ বছরের সাবালিকা। তাকে বিয়ে দেওয়া হলো অন্যত্র। সাথী এখন অন্যের ঘরের রমণী।
ইব্রাহিম এ বিষয়ে জানতে চাইলে নুর নাহার বেগমের সহজ উত্তর,“এক লক্ষ টাকা দিলে মামলা উঠিয়ে নিব”।
এবিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার রবিউল ইসলাম বলেন,যদিও তাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে,তার পরেও আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিব।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ এপ্রিল সাথীর মা (নুরনাহার বেগম) কালীগঞ্জ থানায় তার কন্যার বয়স ১৩ বছর দেখিয়ে, ইব্রাহিম সহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে তার কন্যার অপহরণের মামলা করেন। কিন্তু মাত্র ৭ মাসের ব্যবধানে সাথীর জন্ম তারিখ ০৩-০৫-২০০১ অনুযায়ী বয়স ২০ বছর দেখিয়ে দেবহাটা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মোঃ মহিদ গাজীর পুত্র মোঃ রাকিব হোসেনের সাথে বিবাহ প্রদান করেন। কিন্তু সাথীর প্রকৃত জন্ম-নিবন্ধন অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ৩১-১২-২০০৭।