
আশাশুনি প্রতিবেদক:
সময়মত সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস এর এ্যাম্বুলেন্স না আসায় আশাশুনির ফায়ার ফাইটার তুহিন আলমের নবতাজকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে তুহিন আলম বাদী হয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। লিখিত অভিযোগসূত্রে জানাগেছে, আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের আকরাম হোসেন গাজীর ছেলে ফায়ার ফাইটার তুহিন আলম (পরিচিতি নং-৯৬৫৮/৫০৩৭৭২ ভান্ডারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, পিরোজপুর বদলিকৃত চৌগাছা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, যশোর)।
গত ২৯শে ডিসেম্বর’২১ তারিখে তার চার দিনের বাচ্চা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিল। তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা শিশু হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ঐদিন বিকাল ৩.২৯ মিনিটে সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসের সেন্টি ফোনে ফোন দিয়ে স্টেশন অফিসার অর্থ দেবনাথ এর সাথে পরিচয় দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স কল চান তিনি। কিন্তু অপরপ্রান্ত থেকে কিছু সময় পরে জানাচ্ছি বলে কলটা কেটে দেওয়া হয়। বিকাল ৩.৪৩ মিনিটে পূনরায় ফোন দিলে আবারও কিছু সময় পরে জানাবে বলে কল কেটে দেন।
এরপর বিকাল ৩:৪৮ মিনিটে কল দিলে ডিউটি ম্যান স্টেশন অফিসারের ব্যাক্তিগত মোবাইলে কল দিতে বলেন। ব্যক্তিগত ফোনে ফোন দিলে উনি বলেন ডিএডি ও এডি স্যার ফ্রী এ্যাম্বুলেন্স কল দিবে না। পরবর্তীতে তুহিন খুলনা কন্ট্রোল রুমে ফোন দিলে উনিও বলেন ডিডি এডি এ্যাম্বুলেন্স কল ফ্রী দিবে না, টাকা দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স নিতে হবে। এরপর অন্য কোথাও এ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে বিকাল ৪ টায় স্টেশন অফিসারের সাথে টাকা দিতে রাজি হলে প্রায় ২০ মিনিট পরে এ্যাম্বুলেন্স কল দেন।
কিন্তু ৫০ মিনিট সময় অপেক্ষা করায় বাচ্চার অবস্থা খুবই খারাপ হতে থাকে। তুহিন আলম জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের অসুস্থতা জনিতকারণে জরুরী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকল্পে গমনাগমনে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে রোগীর বাড়ি থেকে হাসপাতালে এবং হাসপাতাল থেকে বাড়িতে বিনামূল্যে পরিবহন করা যাবে।
এমন নিয়ম থাকলেও আমি ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মচারী হয়েও আমার ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব অবহেলার জন্য ও আমার প্রাপ্য সুবিধা না পেয়ে যথাযথ সময়ে বাচ্চাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি নাই। পরে গেলেও সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ায় আমার বাচ্চার মৃত্যু হয়। এসময় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার জন্য কোন সদস্যদের বা তার পরিবারকে যেন প্রাণ দিতে না হয় ও এসও, ডিএডি এডি এবং ডিডি কর্তৃপক্ষের কাছে দায়িত্ব অবহেলার সঠিক বিচার প্রার্থনা করেন তিনি।