
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের টেংরাখালীতে ভিটেবাড়ির জমিতে অবৈধ ভাবে পথ দখল প্রতিরোধ করায় প্রতিপক্ষ ও পুলিশের হুমকীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে বুধহাটা আঞ্চলিক প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
টেংরাখালী গ্রামের মনিন্দ্র নাথ মন্ডলের পুত্র বিষ্ণপদ মন্ডল পরিবারের বহু মানুষের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, তারা ৭টি পরিবার টেংরাখালী গ্রামে ১৭ শতক জমিতে ঘরবাড়ি বেধে বসবাস করে আসছেন। উক্ত জমির মধ্যে প্রায় দেড় শতক জমির উপর দিয়ে সীমানা বাঁধ দেওয়া হয়। সেই বাঁধের উপর দিয়ে মৃত ফুলচাঁদ মন্ডলের পুত্র বাবুলালরা যাতয়াত করে আসছিল। সেখানে সে কিছু ইট বিছিয়ে নিয়েছিল। বর্তমানে পুরাতন রাস্তায় ইটের সোলিং হওয়ায় বাবুলাল সেই পথে যাতয়াত করেন। তারা (বিষ্ণপদ) ঐ সীমানা বাঁধে একটি বসতঘর ও মুরগির ঘর নির্মান করেছেন। বাবুলাল এনিয়ে থানায় অভিযোগ করলে এসআই পিযুশ কান্তি দু’পক্ষকে নোটিশ করলে উভয় পক্ষ হাজির হন। কিন্তু চুড়ান্ত মীমাংসা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে বাবুলাল ইউএনও বরাবর পৃথক অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান দীপঙ্কর কুমার জমি মাপজোকের সিদ্ধান্ত দেন। ইউপি সদস্যসহ চেয়ারম্যানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি জমি মাপে দেখা যায় ঘর ও সীমানা বাধ বিষ্ণদের জমির মধ্যে। তখন উভয় পক্ষের কথা শুনে চেয়ারম্যান বাবুলালকে পথের ইট উঠিয়ে নিতে এবং খাস জমিতে (সৈয়দপুর ট্রাস্ট) সুভাষের ঘর ভেঙ্গেনিতে সিদ্ধান্ত জানান। সুভাষ ঘর ভেঙ্গে নিলেও বাবুলাল ইট তুলে নেননি। তখন বিষ্ণদের বাড়ির মহিলারা ইট উঠিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবুলাল থানায় অভিযোগ করলে দারোগা পুনরায় সেখানে কাগজপত্র দেখলেও বাবুলাল কাগজ দেখাতে পারেননি। এরপর থেকে বাবুলালরা উক্ত পরিবারগুলোকে নানা ভাবে হুমকী ধামকী দিয়ে আসছেন। সবশেষে ১৩ সেপ্টেম্বর রাত্র সাড়ে ৮ টার দিকে এসআই পিযুশ কান্তি বিষ্ণপদদের বাড়িতে গিয়ে রাস্তা ছেড়ে দিতে হবে, না দিলে উপর থেকে অর্ডার করিয়ে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া হবে বলে হুমকী ধামকী ও অশ্লীল ভাষায় শাসান বলে তিনি অভিযোগ করে এর প্রতিকারে পুলিশ সুপারসহ সকলের সহযোগিতা কামানা করেছেন।