
নিজস্ব প্রতিবেদক: কিছুদিন পূর্বেই শিবপুরের সংখ্যালঘুদের আতঙ্ক বাবুর আলী শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয় । সংবাদটি প্রকাশের পর থেকে বাবুর আলী বিভিন্ন মহলে ধর্না দেয়া শুরু করেছে। আবার বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে মাহদেব ও বর্তমানে ওই ঘেরের লিজ নেওয়া ব্যক্তির নামে মিথ্যা মামলার পায়তারা করছে বাবুর আলী। ঘেরের মাছ চুরির নাটক সাজিয়ে অন্যকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের সংখ্যালঘুদের আতঙ্ক বাবুর আলী। অদৃশ্য শক্তির অধিকারী বাবুর আলীর হামলায় হতাহতের তালিকা দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। এর আগে৫নং শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আজহারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ খলিলুল্লাহ স্বাক্ষরিত একটি পত্রে দাবী করা হয় ২০১৩ সালে জামায়াত-বিএনপির সহিংসতার সাথে বাবুর আলী জড়িত। এছাড়াও সংখ্যালঘুদের উপরও নির্যাতন করে সে। স্থানীয় মহাদেব মেম্বর একটি ৪৮ বিঘা আয়তনেরঘের লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন। কিন্তু ওই ঘেরের ওপর নজর পড়ে বাবুর আলীর। মহাদেবকে হেনস্থা করা জন্য বাবুর আলী মহাদেব ও তার আত্মীয় স্বজনদের নামে একের পর এক মিথ্য মামলা দায়ের করে। মামলা গুলো হলো সিআরপি- ২৫০/১/, ৫২/১৮, ৫৩/১৮, ১৫৫/১৮। মামলাগুলো মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় মহাদেব ও তার আত্মীয় স্বজনদের মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মামলা গুলো থেকে মহাদেব অব্যাহতি পাওয়ার পর বাবুর আলীর আরও হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। এসময় অন্য কোন মামলা দায়ের না করে অন্য কৌশলের আশ্রয় নেয়। ২০১৮ সালের ১৪ জুন সকালে বাবুর আলী মহাদেব চন্দ্রের লিজ নেওয়া ঘের দখলে নামে। দখলের খবর পেয়ে মহাদেব চন্দ্র সরকার ৮টির দিকে ঘেরে উপস্থিত হলে বাবুর আলী ও তার সঙ্গীয় লোকজন মাহদেবকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে হামলায় মহাদেবের মাথায় ও চোখের উপর কোপ দেয় যার ফলে মহাদেবের খুলির কিছু অংশ কেটে যায়। এঘটনায় জিআর৪৩৮/১৮নং একটি মামলা এখনো চলমান আছে।
এ বিষয়ে মহাদেব মেম্বারের জানিয়েছিলেন, বাবুর আলী একেরপর এক মিথ্যা মামলায় আমাকে জর্জরিত করছে। বাধ্য হয়ে আমি সে ঘের ছেড়ে দেই। তারপরও বাবুর আলীর হাত থেকে আমার নিস্তার নেই। তার সব মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমান হয়। অপরদিকে যে দিন আমাকে হত্যা করার জন্য হামলা করে তার পরের দিন বাবুর আলী তার স্ত্রীর মাথায় বেøড দিয়ে কেটে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমার নামে আরও একটি মামলা দায়ের করে। সেটিতে কিছুদিন আমাকে হাজতবাস করতে হয়। সেটিও বিচারাধীন আছে। হওয়ার পরও আবারও কিছু দিন পূর্বে আমার নামে চাঁদাবাজির আরও একটি মামলা দিয়েছে যা পিবিআইতে তদন্তাধীন আছে। স্থানীয় অনেকেই এরকম মামলায় জর্জরিত। আমার ঘেরের কর্মচারী ছিল রফিকুল। তাকেও পিটিয়ে আহত করেছে বাবুর আলী।
অপরদিকে একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের জমি দখল নিতে গিয়েও বাবুর আলীর সন্ত্রাসী কার্যক্রম সামনে আসে। চলতি বছরের ১১’জানুয়ারী ঝিটকির রফিকুল ইসলাম নিজের জমিতে কাজ করছিলেন। এসময় জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে বাবুর আলী তার ছেলেদের সাথে নিয়ে রফিকুলের উপর হামলা করে। এসময় রফিকুলকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে তার হাত ভেঙে দেয়। এ নিয়ে আরও একটি মামলা দায়ের হয় যার নং ৩৭, তারিখ ১৫, জানুয়ারী’২১।
এ বিষয়ে রফিকুলের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
শিবপুরের ঝিটকিতে একের পর এক জমি দখল ও নির্যাতনের চিত্র উঠে আসে। যার মূল হোতা হলো বাবুর আলী। তার আরও একটি কারন হলো বাবুর আলীর স্ত্রী স্থানীয় মেম্বার ও জামাতা বিত্তবৈভবের অধিকারী।
এসব অভিযোগের বিষয়ে বাবুর আলীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।