
হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ থেকে: নির্বাচনে সহিংসতা সৃষ্টি করে বুথ দখলের প্রস্তুতিকালে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ফরিপুর মোড়লপাড়া এলাকা থেকে ২৮ নভেম্বর রবিবার ভোর ৬টার দিকে দিকে র্যাব -৬ এর হাতে ৩০টি ককটেল ও ২’টি দেশী তৈরি পাইপগানসহ গ্রেপ্তারকৃত কুখ্যাত সন্ত্রাসী বোমা মজিদ ও আবু মুছাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমাÐ আবেদন জানানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান মঙ্গলবার আদালতে এ রিমাÐ আবেদন করেন।
রিমাÐ আবেদন করা আসামী আব্দুল মজিদ ওরফে বোমা মজিদ কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চাঁচাই গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে। অপর আসামী আবু মুছা একই ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মুজিবর সরদারের ছেলে।
খুলনা র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা অফিস স‚ত্রে জানা গেছে. গোপন খবরের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে যে, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে বুথ দখল করে নিজের প্রার্থীকে জয়লাভ করানোর লক্ষ্যে চাঁচাই গ্রামের বোমা মজিদ ওরফে সন্ত্রাসী মজিদ প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করেছে। এরই অংশ হিসেবে রবিবার ভোর ৬টার দিকে ফরিদপুর গ্রামের মোড়লপাড়ার হাবিবুর রহমানের মুরগির ফার্মের পাশের পুকুর পাড় থেকে মজিদ ও আবু শ্রীরামপুরের ঘরজামাই আবু মুছাকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ তেকে ২’টি দেশী তৈরি পাইপগান ৩০টি ককটেল সাদৃশ্য বস্তু আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সে তার পছন্দের প্রার্থীকে জয়লাভ করানোর জন্য বোমা মেরে ভোটরদের বুথে না যাওয়ার জন্য আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্যোগ নেয় বলে জানায়। এ ছাড়া তার বিুরদ্ধে কমপক্ষে হাফ ডজন মামলা আছে বলেও জানায়।এজন্য সে ওই প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়। অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারেনর ঘটনায় র্যাব- ৬ এর ডিএডি জিল্লুর রহমান বাদি হয়ে ওইদিন ১৯৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ধারায় ও ২০০৮ সালের বিষেআপরোক দ্রব্য আেেইনর ৪ ধারায় ১১ নং মামলা দায়ের করেন।
কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান দু’ আসামীকে ৫ দিন করে রিমাÐ আবেদন জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।