
আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা বাজারে সুদখোর গ্রাম ডাক্তারের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হতে বসেছে এক কিশোর চাউল ব্যবসায়ী। ১০ হাজার টাকায় দিনে ১০০ টাকা কর্জ নিয়ে ৫ মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মামলার জালে আটকা পড়েছে জামালনগর গ্রামের সেলিম ফকির নামে ওই কিশোর।
সেলিমের বাবা মিজানুর রহমান ফকির জানান, সুদখোর গ্রাম ডাক্তার আরমিন ইসলাম সানা কেয়ারগাতি গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে। গত বছর ২৯ নভেম্বর সেলিম দিনে ১০০ টাকা চুক্তিতে ডাক্তারের কাছ থেকে আমার অজান্তে ১০ হাজার টাকা নেয়। অপরদিকে (৩০ জুন’২০ থেকে ৬/৯/২১) আরমিন সেলিমের দোকান থেকে বিভিন্ন সময় ২৮ হাজার ৬৭২ টাকার মালামাল বাকিতে নেয়। ডাক্তার সে টাকা সেলিমকে না দিয়ে তার সুদের ১৫ হাজার টাকা ও আসল ১০ হাজার টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে। সেলিম উভয়ের দেনা-পাওনা সমন্বয় করে বিষয়টি নিঃষ্পত্তি করার কথা বললে ডাক্তার রাজী হয়না।
এরপর আরমিন তার হিসেবের খাতায় সেলিমের নেওয়া ১০ হাজার টাকার স্থলে ২৫ হাজার টাকা এবং তার নীচে আরও ২৫ হাজার টাকা বসিয়ে মোট ৫০ হাজার টাকা ঋণ দেখায়। এতেও সে তৃপ্ত না হয়ে সেলিমের জন্ম নিবন্ধনের কার্ডের ফটোকপি করে তার নীচের অংশে নিজে সাক্ষী হয়ে কেয়ারগাতি গ্রামের কোহিনুর গাইনের নাম উল্লেখ করে ৫ হাজার টাকা মাসিক সুদে আরও ২৫ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে দেখায়। একই কাগজে বিশেষ দ্রষ্ট্রব্যে দফে লিখে আরও ২৫ হাজার টাকা যোগ করে। ওই কাগজে সে নিজে সেলিমের নাম সাক্ষর করে ফাঁকা নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প ( খ ঘ ৮০৪৬৫৮ ও ক ঞ ৩০৬১৫০৯) রাখা হয়েছে উল্লেখ করে। এছাড়াও একই কাগজে ২০/১/২১ ও ২৮/১/২১ তারিখে (২৫+২৫) ৫০ হাজার টাকা নেওয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর আরমিন আমার কিশোর ছেলের বিরুদ্ধে ১১/১০/২১ ইং তারিখে হয়রানিমূলকভাবে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আমলী (৮ নং আশা:) আদালতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার সিআর- ২৬০/২১ নং মামলা দায়ের করেছে। আরমিন আমার কাছ থেকে নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে চুক্তিনামা করে ৩/২/২০১৫ তারিখে জমি বন্ধক রেখে ৫০ হাজার টাকা নেয়। পরে আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে ভিন্ন দলিল ফটোকপি করার নাম করে চুক্তিনামার ১০০ টাকার ষ্ট্যাম্পটি নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে গ্রাম্য ডাক্তার আরমিন সানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সেলিমের কাছে প্রকৃত ৫০ হাজার টাকা পাব। কিন্তু আদালতে ছোট টাকার মামলা নেয় না তাই ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মামলা করেছি। সেলিম আমার কাছে কোন টাকা পাবে না। সে আমার টাকা দিবে না বলে আমার নামে মিথ্যা বলছে।