
হাফিজুর রহমান /হাবিবুল্লাহ বাহারঃ- কালীগঞ্জ উপজেলার বহুল আলোচিত কথিত বাবু কবিরাজ কর্তৃক ধর্ষিত দ্বিতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গত(০১-অক্টোবর) কালীগঞ্জ থানায় স্কুল ছাত্রীর মায়ের দায়ের করা মামলায় গত (০৩- সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আদালতে এর ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী জবানবন্দি প্রদান করে। এরপর আদালতের নির্দেশে (০৭ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। প্রসঙ্গতঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়নের ঘুসুড়ি গ্রামের বীরেন্দ্র দাসের দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশু কন্যা কে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে পার্শ্ববর্তী বরেয়া গ্রামের জামাত আলী মোড়ল ওরফে বয়ে এর লম্পট পুত্র কথিত কবিরাজ বাবু মোড়ল ওরফে বাবু কবিরাজ কুফরী দোষ আছে বলে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে চিকিৎসা করার নাম করে গত (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার সময় তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে খাবারের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে ওই স্কুলছাত্রী কে নগ্ন করে সমস্ত শরীরে তেল মলম লাগিয়ে ধর্ষণ প্রচেষ্টা চালিয়ে আহত করে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে পায়ুপথে বলাৎকার করে রক্তাক্ত জখম করে। ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী ওইদিন বিকাল ৪টার সময় বাবু কবিরাজের মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে পৌঁছে সমস্ত ঘটনা তার মাকে খুলে বললে। ওই সময় কথিত বাবু কবিরাজ মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। আহত অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় তারালী বাজার এর গ্রাম্য চিকিৎসক নাজমুস শাহাদাত ওরফে রায়হান এর নিকট চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসে। পরদিন বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্কর এবং চম্পাফুল ইউনিয়নের দফাদার তপন মন্ডল কে জানায়। দফাদার তপন মন্ডল খবর দিয়ে কথিত কবিরাজ বাবুকে ডেকে এনে মামলার ভয় দেখিয়ে তার নিকট থেকে ৫০,০০০ টাকা মেম্বার এবং দফাদার আদায় করে নেয়। সেখান থেকে ১৫০০০ টাকা ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী এর বাবা কে দিয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে। পরে বিষয়টি নিয়ে দৈনিক সাতনদী সহ বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে টনক নড়ে থানা পুলিশের। (০১ অক্টোবর) ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবাকে খবর দিয়ে থানায় এনে মামলা দায়ের করে। ঘটনার ২০ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষক কবিরাজ বাবুকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ।