
তালা প্রতিনিধি: তালার ধুলন্ডা গ্রামে পৈত্রিক সম্পতি থেকে বঞ্চিত করায় অভিযোগে মারামারি ঘটনা ঘটেছে । তালা হাসপাতালে ৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ধুলন্ডা গ্রামে সাবেক শিক্ষক দলিল উদ্দীন বিশ^াসের একমাত্র পুত্র বাবলু বিশ^াসকে সকল জমিজমা থেকে বঞ্চিত কারার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপারে নিজ বসতবাড়িতে এঘটনা ঘটে।
বাবলু বিশ্বাস এর স্ত্রী বিউটি খাতুন জানান, পার্শবর্তি বিয়ে হওয়া দলিল উদ্দীন সেজকন্যা হাসি বেগম (৩৫) ও তার স্বামী করিম শেখ (৪০) করিম শেখের বড় মেয়ে কেয়া (১৮) ও দলিল উদ্দীনের স্ত্রী সামছুর নাহার (৫৫) একত্রে আসিয়া আমার ঘরে তালা মেরে দেয়। আমার মেয়ে ও ছেলে প্রতিবাদ করতে আসলে আমার মেয়ের চুলের মুঠি ধরে বাহিরে বের করে পা দিয়ে পাড়াতে থাকে। একপর্যায়ে বাসের লাঠি ও রড দিয়ে আমার পুত্র ও কন্যাদেরকে এলোপাতাড়ি ভাবে বেধড়ক মারতে থাকে। তৎখনাত স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে আমার ছেলে ও মেয়েদেরকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করে। এরা আমাদের উপর বিভিন্ন সময় মারধর ও গালিগালাজ করে।
বাবলু বিশ্বাস এর পুত্র সৈকত হোসেন জানান, আমার দাদা প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক ছিলেন। তার পেনশিয়নের টাকা তার চার মেয়েকে দিয়েছে। আমার পিতা চট্টগ্রামে কাজ করেন। আমাদের কোন জমাজমি দিবে না বলে বিভিন্ন সময় অত্যাচার চলতেই থাকে আমার পরিবারের উপর। আমার দাদা, দাদি ও ফুফুরা এবং জামায় বিভিন্ন ভাবে আমাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালায়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, আমরা প্রায় দেখি যে জমি জায়গা মারামারি করতে থাকে । তবে শুনেছি দলিল উদ্দীন তার পুত্রকে গছিত্ব টাকা দেইনি ও জমিজমা নাকি দিবে না।
এ বিষয়ে সাবেক শিক্ষক দলিল উদ্দীন বলেন, জমিজমা না দেয়ার বিষয় মিথ্যা তবে আজকে মারামারি হয়েছে।