
রাশেদ আলী, যশোর থেকে: প্রতিবেশি এক শিশু কে জাপটে ধরে ঘরের ভীতরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জলিল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শালিসী বৈঠক থেকে অভিযুক্ত জলিলকে সরিয়ে দিয়েছে কয়েক যুবক। শালিসীর নামে অর্থ বানিজে্েযর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মণিরামপুর উপজেলার ঘিবা গ্রামে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, ঘিবা গ্রামের ১২ বছরের শিশু কন্যা গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশে তার বান্ধবীর বাড়িতে যাচ্ছিলো। প্রতিবেশি মৃত্য সাহেব আলীর ছেলে ৩ সন্তানের জনক আব্দুল জলিল (৫০) এর উঠান দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে জাপটে ধরে ও মুখ আটকিয়ে তার বসত গরের রুমের ভীতরে নিয়ে যায়। এবং ঘরের আলো নিভিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে কথা হয় জলিলের বাড়ির সামনের বাড়ির প্রত্যক্ষদর্শি জসীম উদ্দীনের স্ত্রীর সাথে তিনি প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, শালিসের মধ্যে আমি পুরো ঘটনা বলেছি। আমি আরো বলেছি আমি নিজে দেখে আরো পাশের কয়েকজন মহিলাকে ডেকে আনতেই মেয়েটি ঘর থেকে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে বেরিয়ে যায়। এ সময় আমিসহ কয়েকজনে জলিলকে মারতে যাই। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ দিকে ঘটনাটি নিয়ে রাত ৮ টার দিকে লম্পট জলিলের উপস্থিতিতে গ্রামের মাতব্বর জমশেদ, মাষ্টার ও ইমাম সিদ্দিকুর রহমান, ইব্রাহিম হোসেনসহ গ্রামের শত শত লোকের উপস্থিতিতে রেজাউলের দোকানের সামনে শালিসী বৈঠক বসে। রাত এগারোটা পর্যন্ত বৈঠক চললেও বিশেষ কারনে সমাধান হয়নি। এক পর্যায় কাউকে কিছু না বলে মাতব্বররা যার সেই চলে যায় এবং গ্রামের কয়েক যুবক লম্পট জলিলকে কৌশলে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। ফলে বৈঠকটি পন্ড হয়ে যায়। ফলে অনেকেই ধারনা করছে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বৈঠকটি পন্ড হয়েছে ও লম্পট জলিলকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে শিশু কন্যা জানায়, জলিলের উঠান দিয়ে যাওয়ার সময় জলিল আমার চোখ আটে ধরে ঘরের ভীতরে নিয়ে যায়। দরজা দিয়ে আলো নিভিয়ে আমার উপর প্রায় ৮/১০ মিনিট জোর জবরদস্তি চালায়। আমি টানা হেচড়া করে কোন রকম ঘর থেকে দোড়ে বেরিয়ে যায়। পরে আমার মাকে বিষয়টি বলি। লম্পট জলিলের সাথে কথা হলে প্রথমে অস্বীকার করেন। কিন্তু শালিসে তার ভাবি পূরো ঘটনাটি বলার পর জলিল নিজেই দোষ স্বীকার করে ও মাতব্বর সিদ্দিকের পা জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চান বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে মাতব্বর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি মিমাংসার জন্য আমরা বসেছিলাম। জলিল আমার পা ধরে মাফ চেয়েছিল সঠিক। প্রায় মিমাংসার পথে এমন সময় একটা বিশেষ কারনে ভেস্তে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লম্পট জলিল পলাতক রয়েছে। এদিকে শিশু কন্যার পরিবারটি সহজ সরল মনের হওয়ায় এবং বিভিন্ন সাইটের চাপের কারনে তারা কিছুই করতে পারছেনা। তবে পরিবারটি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানিয়েছে।