
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিবেদক: লম্পট স্বামীর পরকীয়ার কারণে সন্তানকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন মণিরামপুরে পলি খাতুন নামের এক গৃহবধূ। তিনি উপজেলার মাছনা বেগমপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের মেয়ে। তিনি দুই সন্তান নিয়ে এখন বিচারের আশায় সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বিয়ের পর স্বামী ভরণ-পোষণের খরচ না দেয়ায় এ থেকে পরিত্রাণ পেতে খানপুর ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগও করেছেন ভূক্তভোগী পলি খাতুন।
জানা যায়, নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার কয়াখাস গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে বিপ্লব হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ভূক্তভোগী মণিরামপুরের পলি খাতুনের। সম্পর্কের একপর্যায়ে গত ১৪ জুন ২০২১ তারিখে ২ লক্ষ টাকার কাবিন চুক্তিতে রেজিষ্ট্রি করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বিয়ের পর বিপ্লব হোসেন পলির বাড়িতে আসা যাওয়া করিতে থাকে। এর কিছুদিন পর স্ত্রী পলির কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে বিপ্লব হোসেন তার গ্রামের বাড়িতে চলিয়া যায়। এরপর থেকে স্বামী বিপ্লব হোসেন স্ত্রীর পলি খাতুনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে ভরণ-পোষণের খরচ না দেওয়ায় গৃহবধূ পলি খাতুনের কাটছে মানবেতর জীবন যাপন। এক পর্যায়ে পলি খাতুন তার স্বামী বিপ্লব হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ভূক্তভোগী গৃহবধু পলি খাতুন ০৩ আগস্ট উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভূক্তভোগী পলি খাতুন বলেন, আমার স্বামী বিপ্লব তার গ্রামের বাড়ি কয়াখাস গ্রামে নিয়ে সংসার করিবে বলে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব প্রদান করে। আমি সে মোতাবেক তাকে বিবাহ করি। আমাদের দাম্পত্য জীবন কিছুদিন ভালো চললেও বর্তমানে আমি খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে। আমার ভরণ পোষণের খরচ না দিয়ে উল্টো আমার স্বামী ঈদের আগে আমার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে চলিয়া যায়। সেই থেকে আমার সাথে যোগাযোগও বন্ধ করিয়ে দিয়েছে। আমি সন্তানরে নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি। এ ঘটনায় আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।