
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১২ নং বল্লী ইউনিয়নের বল্লী মোঃ মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করতে একটি কুচক্রীমহল যড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই প্রতিষ্ঠানের বহিষ্কৃত সহকারী শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল সহ কয়েকজন সহযোগী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে জানা যায় উক্ত শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুলের নেতৃত্বে ২০১৩ সালে বল্লী ইউনিয়ন সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় তান্ডব চালিয়ে অশান্ত করে তোলে তার নামে প্রায় ১০ টির মতো নাশকতার মামলা হয়। সেই সময় মামলা থাকার কারণে পুলিশ কতৃক গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে এলাকা ছেড়ে তিনি ঢাকার রয়েল পাবলিকেশন্সের কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জোনে থাকতেন, এলাকাবাসী সুত্রে আরো জানা যায়, যে উক্ত জামায়াত নেতা একাধিক নাশকতা মামলার আসামি আজহারুজ্জামান মুকুল বিদ্যালয়ে প্রায় ৬ বছরের অধিক সময় অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন, স্থানীয়রা জানান একই ব্যক্তি দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে এবং উভয় প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ও উত্তোলন করে এটা আমাদের বোধগম্য নয় এসব বিষয়ে স্হানীয় ও জাতীয় দৈনিকে একাধিক বার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু কোন কিছুই কাজে আসেনি,বরং সে বহাল তবিয়তে বহিষ্কার থেকে ও বেতন উত্তোলন করেই যাচ্ছে। এবং সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে বিদ্যালয় নিয়ে যড়যন্ত্রের বিষয়ে বহিষ্কৃত শিক্ষক জামায়াত নেতা আজহারুজ্জামান মুকুলের নিকট সরাসরি কথা বলে জানতে চাইলে উত্তরে জানায় বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও জেলা আ, লীগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ও অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আঃ রাজ্জাক যোগসাজস করে আমাকে বিদ্যালয়ে ফিরতে দেয়নি। এজন্য আমি ওই আ,লীগ নেতা ও প্রধান শিক্ষকের নামে হাইকোর্টে একটি মামলা করেছি। এবং বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের চাকরির মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হবে কিন্তু তিনি আবার চুক্তিভিত্তিক থাকবেন। বিষয় টি আমি জানতে পেরে উপরিমহলে জানানোর চেষ্টা করবো। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক আঃ রাজ্জাক জানান, আমার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে স্হানীয় মানুষ এবং কতৃপক্ষ যদি পুনরায় আমাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেন সেক্ষেত্রে আমি চাকরি করবো কি করবো না সেটি ভেবে দেখবো। এখন এবিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। তাছাড়া যে মুকুল যড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। কতৃপক্ষ অনেক বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে এবং সমস্ত ঘটনা ইতিপূর্বে ধারাবাহিক ভাবে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যাহা এলাকাবাসীসহ জানে আমার নতুন করে কিছু বলার নেই, এব্যপারে স্হানীয় চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি বজলুর রহমান জানান, উক্ত শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল একাধিক নাশকতার মামলায় আসামী হওয়ার পর থেকে শুধু বিদ্যালয় নয় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ফের অত্র এলাকা অশান্তের পাইতারা চালাচ্ছে। তিনি আরো জানান, একজন সন্ত্রাসীও একাধিক নাশকতার মামলায় জড়িত থেকে দুই প্রতিষ্ঠানে একই সাথে চাকরি করে বেতন উত্তোলন করে কিভাবে? এলাকাবাসী বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।