
শেখ আব্দুল হাকিম/ জিয়াউর রহমান,শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগরে তিন দিনের ভারি বর্ষনে ১২টি ইউনিয়নে অধিকাংশ মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে একাকার হয়ে গেছে। ঘেরের মাছ পাািনতে ভেঁসে যেয়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি স্বাধিত হয়েছে মাছ চাষীদের। পাশাপাশি কৃষকদের বীজ তলা ও পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, চলতি বছর উপজেলায় ১৭ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে মাছ চাষ করা হয়। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৬শত মেঃ টন। বছরের ছয় মাস মৎস্য চাািষদের উৎপাদন ভাল ছিল। কিন্তু হঠাৎ ৩ দিন ধরে ভারি বর্ষণে প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। আকাশ বন্যার পানিতে উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের মৎস্য চাষীদের চিংড়ি ঘের তলিয়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতির কবলে পড়েছে চিংড়ি চাষিরা।
বিশিষ্ট চিংড়ি চাষী মুজিবর রহমান, আব্দুল বারিক ও লুৎফর রহমান সহ অনেকে জানান, মাহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে জমিতে চিংড়ি মাছ চাষ করা হয়। কিস্তু হঠাৎ আকাশ বন্যার ভারি বর্ষনে সমগ্র ঘের পানিতে তলিয়ে মাছ ভেঁসে গেছে। এতে মাছ চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এসময়ে এ ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব না বলে মাছ চাষিরা জানান। তারা আরোও জানান, মাহাজনদের ঋনের টাকা পরিশোধ কি ভাবে করবে সেই চিন্তার চাষীদের চোখে যেন এখন সরষের ফুল।
নদী বেষ্ঠিত গাবুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, জিএম মাসুদুল আলম জানান, ইউনিয়নের ২৫ হাজার মানুষ সম্পূর্ণরুপে চিংড়ী চাষের উপর নির্ভরশীল। ভারি বর্ষনে সমস্ত মাছের ঘের তলিয়ে চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, তুষার মজুমদার জানান, তিন দিনের ভারি বর্ষণে মৎস্য ঘের তলিয়ে চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষমাত্রা ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা বলে তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক জানান, ভারি বর্ষনে কৃষকদেও বীজ তলা পানির নিচে ডুবে গেছে। এভাবে যদি সাত দিন বীজ তলা পানির নিচে থাকলে বীজ তলা পোচে যাবে। তিনি আরোও জানান, শ্যামনগর উপজেলাঢ ১৭ হাজার ৫ শত ৪০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের জন্য নির্ধারন করা হয়েছে। তবে বীজ কলা নষ্ট হওয়ার আশংকায় বীজ ডিলারদের বিভিন্ন জেলা থেকে বীজ সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।