
হাইব্রিড প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামায় তৃণমূলে ক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক: খোদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এক প্রার্থীর পক্ষে শোডাউন শেষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথি হলেন। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার আশাশুনি উপজেলার কূল্যা ইউনিয়নে ঘটে।
৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবু উত্তমকুমার দাশ ও মনোহরপুর সার্বজনীন জগধাত্রী মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক জানান, মন্দিরের উন্নয়নের জন্য ৪৫ হাজার টাকার একটা চেক প্রদান ও মন্দিরের বর্ধিত অংশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিত মন্ডল, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ঢালী মোঃ শামসুল আলম সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দু’থেকে আড়াই’শ মানুষ উপস্থিত ছিলে

অনুষ্ঠানে মাস্ক ছাড়াই উপস্থিত হয়েছে তাদের সমর্থকরা
ন। এদিকে ক‚ল্যা ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর সাকি পলাশের ফেসবুক আইডিতে জনসভার একাধিক ছবি পাওয়া গেছে। ওইসব ছবিতে দেখা যায় ৯৫% মানুষ মাস্ক ছাড়াই উপস্থিত হয়েছেন। খোদ প্রধান অতিথি আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিত মন্ডল, চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর সাকি পলাশ মাস্ক ছাড়াই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ঢালী মোঃ শামসুল আলমের ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় দেখা যায় ২০/২৫টি মটরসাইকেল শোভাযাত্রার অগ্রভাগে আছেন শম্ভুজিত মন্ডল ও ওমর সাকি পলাশ। শোভাযাত্রায়ও তাদের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। দীর্ঘ শোভাযাত্রায় ওমর সাকি পলাশ ও তার অনুসারিরা এবং মন্দির কমিটির লোকজন অংশ নেয়।
কূল্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদ ঢালী সাতনদীকে জানান, ‘উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির ভাইপো সুযোগ সন্ধানী এক প্রাথীর পক্ষে এ ধরনের ছোট-খাটো প্রোগ্রামের আড়ালে শম্ভুজিত মন্ডল শোডাউনে অংশনেন ক‚ল্যা ইউনিয়নে।’ যোগ করে তিনি বলেন, ‘ইতোপূর্বে আরও অন্তত ৫টি এরূপ শোডাউনে অংশ নিয়েছেন শম্ভুজিত মন্ডল। বিষয়টি তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় সাংসদ সদস্যকে জানিয়েছেন। ’
তিনি এও বলেন, ‘যে গঠনতান্ত্রিক ভাবে ইউনিয়ন কিম্বা ওয়ার্ড প্রোগ্রাম করতে হলে সংশ্লিষ্ট কমিটির নেতৃবৃন্দ তার আয়োজন করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু শম্ভুজিত এসব কিছুই মানেনা। এমনকি শম্ভুজিত মন্ডল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগে আওয়ামী লীগের নূন্যতম কোন সদস্যপদ তার ছিল না। কিছু কিছু নেতারা নৌকা প্রতীক পাইয়ে দেয়ার নামে এবং ভোট কেটে চেয়ারম্যান বানাবে এই মর্মে প্রাথীদের সাথে মোটা অংকের টাকায় চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন যা দুঃখজনক।’
এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করেও সংযোগ স্থাপন করা যায়নি।
বক্তব্য নেয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিমের মোবাইলে কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।