
নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে মুজিববর্ষে ৩৬০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর ও জমি পেলো। আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাওয়া ভূমিহীনদের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার । ভূমিহীনরা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর পেয়ে নুতন ভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্নও দেখছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দেশের সকল ভুমিহীন ও গৃহহীন মানুষের একটু মাথা গোজার ঠাই বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে ‘মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা ২০২০’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৭০ হাজারেরও বেশি গৃহহীনকে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩ শত চল্লিশটি ভূমিহীন পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপকার ভোগী পরিবারগুলো শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে প্রাপ্ত ঘর পেয়ে নতুন ভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। ঘর গুলোর নির্মান কাঠামো সম্পর্কে তাদের অভিব্যক্তি ছিলো খুবই সন্তোষ জনক। উপকার ভোগীরা বলেন আমরা ভূমিহীন মানুষ হিসাবে একসময় ছিন্নমুলের মতো মানতবতার জীবন যাপন করছিলাম। এমন মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমি সহ আমাদেরকে সুন্দর একটি করে ঘর উপহার দিয়ে আমাদের জীবনে নুতন করে আশার আলো জাগিয়েছেন। আগে আমদের ঘর ছিলোনা জমি ছিলোনা রাস্তার ধারে খুপড়ি ঘরে বসবাস করতাম এখন আমরা দিনমজুরের কাজ করে বাড়িতে ফিরে পাকা ঘরের সাথে পাকা বাথরুম এটা আমাদের জন্য অনেক পাওয়া। ঘর গুলা পাকা ও টেকশই খুবই সুন্দর হওয়ায় দূর্যোগ কালীন সময়েও আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি। ঘর গুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ায় আমাদের ছেলে মেয়েরা ভালো ভাবে লেখা পড়া করতে পারছে। আমরা সকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনান কাছে সারাটাজীবন চিরকৃতজ্ঞ ও ঋণী হয়ে থাকবো। আর প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সকল সদস্য সহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের যে মানুষ গুলো আমাদের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বাস্তবায়নের জন্য দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের জন্য আমরা আজীবন দোয়া করবো।আশ্রয় প্রকল্পের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আ,ন,ম আবুজার গিফারী বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর আমরা শ্যামনগর উপজেলার ভূমিহীন ৩৬০ পরিবারের মধ্যে গৃহপ্রদানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ইতি মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে ২৯০ টি ঘর। বাকি ঘরগুলি হস্তান্তরের সার্বিক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ভূমিহীনদের জন্য প্রস্তুুত করা প্রতিটি ঘর মমতার সাথে নির্মাণ করা হচ্ছে এবং ঘরগুলা যাতে টেকশই ও মজবুত হয় সে বিষয় আমরা প্রতিনিয়ত পর্যাবেক্ষন করেছি। আমরা আশা করি ঘর গুলা পেয়ে ভূমিহীন দরিদ্র পরিবার গুলো অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন। এবং আয়বর্ধন মুলক নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের জীবনে সচ্ছলতা আসবে বলে আমি মনে করি। আর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মুজিববর্ষে ভূমিহীনদের দেওয়া উপহার এই ঘরে কোনরকম অনিয়ম দূর্নীতি আমরা বরদাস্ত করবো না সে যেই হোক না কেনো। যে ঘরগুলি বাকি আছে খুব শীগ্রই আমরা বাকি ভুমিহীনদের নিকট বুঝিয়ে দেবো।
সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য জনাব এস এম জগলুল হায়দার এমপি বলেন, মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষে তার দেওয়া উপহার ভূমিহীনদের আশ্রয়ন প্রকল্পের পাকা ঘর ইতিমধ্যে বহু মানুষ এর সুফল ভোগ করছে। ভূমিহীনরা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই উপহার পেয়ে নতুনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্নও দেখছেন এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ হুমায়ূন কবির জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে শ্যামনগর উপজেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীনদের যে ঘর দিয়েছেন সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনো অনিয়মের খবর আমরা পাইনি। কোনরকম অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।