
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাকালীন সময়ে সাতক্ষীরা সদরের সীমান্ত এলাকা শাঁখরা কোমরপুর এজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেবাশিষ রায় করছেন ভবন ভাড়া নিয়ে অবৈধ কোচিং বানিজ্য। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয় বলে কোচিং সেন্টার বন্ধে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু করোনার মতো মরণব্যাধির মধ্যেও থেমে নেই কোচিং বাণিজ্য।
৩১মে সোমবার সকাল ৮টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি কক্ষে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে গাদাগাদি করে বসিয়ে কোচিং পরিচালনা করছেন শাঁখরা কোমরপুর এজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেবাশিষ রায়। এতে সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। করোনা ব্যাধি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা বাণিজ্যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিও স্থবির হয়ে পড়েছে। এদিকে করোনার ঝুঁকিতে আছে সাতক্ষীরাজেলা দিন দিন করোনা আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারাদেশে সরকার যেখানে, করোনাভাইরাস থেকে রেহাই পেতে স্কুল কলেজ বন্ধ রেখেছে, সেখানে এই ভাবে প্রাটভেট পড়টা কতটা নিরাপদ তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিবাবকগণ।
কোচিং চলা কালীন সময়ে শাঁখরা কোমরপুর এজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেবাশিষ রায় এর কাছে অবৈধ কোচিং এর বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আমি এটা সম্পুন ভুুল করেছি। আর এরকম কাজ করবো না। আমি কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দিবো।’’
কোচিং সেন্টারের আশপাশের দোকান ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, করোনার মধ্যেও এই শিক্ষক প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ রাখেনি। প্রধান শিক্ষক আহমেদ শরীফ ইকবালের যোগসাজিদে এই শিক্ষক এমন ভাবে কোচিং বানিজ্য করে যাচ্ছে। করোনাকালীন এই আর্থিক সংকটে কোচিং নিয়ে এই বাণিজ্য করা উচিত নয়। তবে করোনার মধ্যে কোচিং খোলা থাকলেও প্রশাসন তেমন ব্যবস্থা নেয়নি।
এবিষয়ে শাঁখরা কোমরপুর এজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমেদ শরীফ ইকবালের কাছে ফোন দিলে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে কোন শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কোচিং সেন্টার চালাতে পারবে না। আপনারা তথ্য দেন আইনগত ব্যবস্থা নিবো।