
নিজস্ব প্রতিবেদক: নামে তিনি সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার। কিন্তু তিনিই সরকারী সম্পতি অবৈধভাবে দখল করে নির্মান করছেন অবৈধ স্থাপনা। সাতক্ষীরা শহরের খড়িবিলা রোডের বাইপাস ক্রসিং-এর অদুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারী সম্পতিতে এই অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। অবৈধ দখলদার হলেন, দেবহাটা উপজেলার সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর মেডিকেল অফিসার ডাঃ রনজিত কুমার রায়। যিনি সাতক্ষীরা শহরের রাধানগর এলাকায় ছয় তালার বিলাস বহুল বাড়ীতে বসবাস করেন।
সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি ডাঃ রনজিত কুমার রায় পলাশপোল মৌজার এস,এ ১৬৪৫ খারিজমতে ১৬৪৫/১ ও১৬৪৫/২ খতিয়ান দ্বয়ের অর্ন্তগত ১২৭৫৯ দাগে ১২.৬০ শতক জমি শহরের ইটাগাছা এলাকার বাসিন্দা তুলশি কুমার দে ও হরিপদ-দের কাছ থেকে কবলা বলে খরিদ করেন। একই দিনে তিনি শহরের ইটাগাছা এলাকার বাসিন্দা বাবলুর নিকট থেকে একই মৌজার ১২৭৫৮ দাগের তিন শতক জমি কবলা বলে খরিদ করেন। দুটি কবলায় মোট ১৫.৬০ শতক জমি খরিদ করে সীমানার প্রাচীর ও ড্রেন নির্মান করার সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারী সম্পতির উপর অবধৈ স্থাপনা নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে। ডাঃ রনজিত কুমার রায়ের পক্ষে সরকারী সম্পতিতে অবধৈ স্থাপনা নির্মান কাজের দায়িত্ব নেয় ইটাগাছার মাজেদ গাজীর ছেলে মনি। মনি সর্বজন মহলে জমি কেনাবেচার দালাল হিসাবে পরিচিত। ব্যক্তি মালিকানার জমির সামনের ভাগে সরকারী সম্পতিতে অবধৈ স্থাপনা নির্মানের ঘটনায় জমির মালিক শহরের ইটাগাছার বাসিন্দা হরিপদ দে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ করলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবৈধ স্থাপনার কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। কছিু দিনের জন্য সরকারী সম্পতিতে অবৈধ স্থাপনার কাজ বন্ধ থাকলেও গত ২৯ শে মে শনিবার অদৃশ্য শক্তির ইন্ধনে আবারও নির্মান কাজ শুরু করে। জমির মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন কালু ওই অবৈধ স্থপনার কাজ বন্ধ করে দেন। এ ঘটনা জানার জন্য দখলদার ডাঃ রনজিত কুমার রায়ের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।