
গাজী জিয়াউর রহমান, ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের বোটম্যান পান্নার গোপন কৌশলে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগের ব্যপারে এবার মুখ খুললো জেলেরা। জেলে সূত্রে জানাগেছে, রেঞ্জের বোটম্যান পান্নাকে না জানিয়ে বৈধ ভাবে পাশপার্মিট নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করলেই তাদের দিতে হবে চরম খেসারত। ফরেস্টের বিশেষ বিভাগ “অলটিম” এর বোটম্যান হয়ে সুন্দরবনে টহলকালে অসহায় জেলেদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় অর্থ । চাইলে অর্থের বিনিময়ে অভয়ারণ্যে যেতে পারে জেলেরা তার জন্য নৌকাপিছু ২/৩ হাজার টাকা দিতে হয় । অভয়ারণ্যের বাইরে মাছ, কাঁকড়া, মধু একটু কম পাওয়া যায় । তার জন্য বেশি পাওয়ার আশায় জেলেরা অভয়ারণ্যে প্রবেশ করতে চায়।এজন্য তাদেরকে গুনতে হয় মোটা অংকের অর্থ। নদীতে কার্গো, নৌকা, ট্রলার, জেলে সহ সকল ব্যবসায়ীদের নিকট থেকেও অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে পান্নার বিরুদ্ধে । তার জন্য বোটম্যান পান্নার খাতায় নামও লেখা থাকে যোগাযোগ করা জেলেদের । অন্যদিকে বাকি টাকার আদায়ের জন্য জেলেদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে ।
চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সকালে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন ঘাট থেকে মামলা দিবে অবৈধ কয়লা নিয়ে যাচ্ছো এমনটি হুমকি দেয় পান্না কয়লার কার্গো মাঝি রবিউলকে ।
নৌকায় থাকা নাজমুল জানান, পান্না স্যারের পা ধরলাম যে স্যার এবারের মত আমাদের মাফ করে দেন কিন্তু তিনি কাঠের চেলা দিয়ে মারপিট করল । বিষয়টি স্থানীয় কয়েক জনের মাধ্যমে সাংবাদিক আব্দুল হালিমকে জানাতে পারেন। সাংবাদিক আব্দুল হালিম বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ কে জানানোর পর কয়লা ও টাকা ফিরিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে বোট ম্যান পান্নার নিকট মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা বলেন, পান্না আমার স্টেশনের আওতায় থাকে না । রেঞ্জ অফিসের বোটম্যান । রেঞ্জ কর্মকর্তা এম এ হাসানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে অনেক ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন ।
পান্নার এমন ধরনের কর্মকান্ড দেখে এলার সচেতন মহল অবাক, মন্তব্যে পান্নার খুটির জোর কোথায়? একজন বোটম্যান হিসাবে ফরেস্ট বিভাগের নাম ক্ষুন্ন করায় পান্নার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য ফরেস্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ।