কলারোয়া ব্যুরো: কলারোয়ায় সাংবাদিক লিটন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে কাজীরহাট বাজারের একটি নার্সিং হোমে তথ্য সংগ্রহ করতে যেয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হন তিনি। সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা নিতে হয় তাঁর।
জাহাঙ্গীর আলম লিটন যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফ্ফারের ছেলে। তিনি এশিয়ান টিভির কলারোয়া প্রতিনিধি ও নিউজ অফ কলারোয়া’র সম্পাদক। এছাড়া তিনি কলারোয়া প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক পদে কর্মরত রয়েছেন। জানা গেছে, কাজীরহাট বাজারে অবস্থিত জননী নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম লিটন শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৫ টার দিকে নার্সিং হোমে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারপিট করে আহত করা হয়। এ সময় সাংবাদিকের ব্যবহৃত ক্যামেরাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদির ক্ষতিসাধনের চেষ্টা চালানো হয়। সাংবাদিক লিটন জানান, এ্যানেসথেসিয়া বিষয়ক কনসালটেন্ট ছাড়াই ওই নার্সিং হোমে সিজারিয়ান অপারেশন করা হচ্ছে, এমন সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ে তিনি তথ্য সংগ্রহ করতে যান।
এদিকে, সাংবাদিক লিটন আহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান ও সুস্থতা কামনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, পৌর মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, প্রেসক্লাব সভাপতি শিক্ষক দীপক শেঠ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সাংবাদিক জাকির হোসেন, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মোস্তফা হোসেন বাবলু. মোজাহিদুলইসলামসহ সাংবাদিকবৃন্দ ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ। শনিবার সাতক্ষীরা ও কলারোয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ঘটনাস্থল ঘুরে এসে সাংবাদিক লিটনের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। এ হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শিক্ষক দীপক শেঠ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানসহ সকল কমকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।