
নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী আজ। দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অন্যতম একটি অংশ ও এক অবিস্মরণীয় দিন। আজ থেকে ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করে। রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলনা রোড মোড়স্থ বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর তিন সপ্তাহ পর বৈদ্যনাথতলা নামে পরিচিত ঐ বিশাল আমবাগান এলাকাকেই পরে ‘মুজিবনগর’ নাম দিয়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত করতে মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। মুজিবনগর সরকারের দক্ষ নেতৃত্ব ও পরিচালনায় ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে বাঙালির নিজস্ব আবাসভূমি স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু আহমেদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গনি, শিক্ষা ও মানব সম্পাদক বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্না, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: সুব্রত ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান, শিমুল সামস্, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ, শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদ পৌর শাখার সভাপতি নুরুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বশির আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা সমীর বসু, লিটন মির্জা, মিজানুর রহমান, বেলায়েত হোসেন, মোস্তাফা আলী সহ সদর উপজেলা ও পৌর আ’লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।