নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলে বিরুদ্ধে টাকা নিয়েও গভীর নলকূপ না দিয়ে এক মহিলা ইউপি সদস্যকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সদর উপজেলার খলিলনগর গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমানের স্ত্রী বৈকারী ইউপি’র সংরক্ষিত ১,২ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোছাঃ নাছিমা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি বৈকারী ইউনিয়নের নির্বাচিত ইউপি সদস্য। এলাকার জনগণের উন্নয়নের স্বার্থে সরকারি গভীর নলকূপ বরাদ্দের জন্য সদর উপজেলার বৈকারী গ্রামের মৃত রয়েল সরদারের ছলে বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান অসলের কাছে মৌখিক ভাবে আবেদন জানাই। এসময় চেয়ারম্যান অসলে বলেন, আমার ছেলে মোঃ এনজামুল হক (এনজাম) কে আপনার কাছে পাঠাবো ওর হাতে ৭ হাজার ২০০ টাকা এবং আপনার কাছে যদি টাকা থাকে তাহলে একটু কষ্ট করে আমাকে ধার হিসাবে ৮ হাজার টাকা দিবেন। আমি চেয়ারম্যানের কথামত তার ছেলে এনজার কাছে ৭২০০ টাকা দিয়ে দেই এবং পরের দিন ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানের হাতে ধার হিসাবে আরো ৮ হাজার টাকা প্রদান করি। এনিয়ে আমি মোট ১৫ হাজার ২শ’ টাকা চেয়ারম্যান অসলেকে প্রদান করি।
ইউপি সদস্য নাছিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, পরবর্তীতে এলাকাবসীর কাছে দেয়া ওয়াদা অনুযায়ি টাকা নেয়ার পরও গভীর নলকূপ বরাদ্দ না পেয়ে খলিলনগর গ্রামের তারাচাঁদ মন্ডলের ছেলে হারুনার রশিদ আমার কাছে এসে নলকূপের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। উপয়ন্ত না পেয়ে গত ৯ মার্চ আমি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলেকে বিষয়টি জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এসময় তিনি বলেন, আমি কোন টাকা গ্রহণ করিনি। সুতরাং আমি কোন টাকা ফেরত দিতে পারবো না বলে, চেয়ারম্যান অসলে আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ অফিস থেকে বের করে দেন। এসময় তিনি আমাকে বির্ভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে বলেন, টাকা দিতে পারবো না, পারলে টাকা আদায় করে নিস। বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ইনজার ভয়ে আমি ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় দিনযপান করছি। এঘটনায় আমি নিজে বাদি হয়ে চেয়ারম্যান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
তিনি গভীর নলকূপ বাবদ বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলেকে দেয়া ৭২০০ এবং ধার হিসাবে দেয়া ৮ হাজারসহ মোট ১৫ হাজার ২শ’ টাকা ফেরত পাওয়াসহ তাদের পিতা ও ছেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।