
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক জামাইকে বেকায়দায় ফেলার জন্য নিজ নাতিকে অপহরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন শ্যামনগরের ছোটকুপট (সাপেরদুনে) গ্রামের আব্দুর রশিদ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ অপচেষ্টা চালান তিনি।
ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন জানান, আমি কাজের জন্য ঢাকায় অবস্থান করছি। আমার স্ত্রী লিলি আক্তারের পরকীয়ার কারনে আমি তাকে তালাক প্রদান করি। এমতাবস্থায় সে আমার দু শিশু সন্তান বাড়ি ফেলে যায়। কোন দিন দেখতেও চায়নি। কোর্টে আমার নামে দেনমোহর ও খোরপোশের মামলা করে। হয়রানি বৃদ্ধির জন্য মিথ্যা যৌতুকের মামলাও করে। কোন মামলায় সুবিধা করতে না পেরে বে-কায়দায় ফেলার জন্য লিলির বাবাব আব্দুর রশিদ তার তিন ছেলে ফারুক, রুবেল, আলমগীর, মেয়ের জামাই জালাল গাজী, বুলবুল, কথিত সাংবাদিক সাইফুল মেয়ের তিন মামাসহ ৭টি মটরসাইকেলে ২১জন আমার শিশু পুত্র নাজমুল ইসলাম (৪) ও মেয়ে ময়না আক্তারকে(১১) অপহরনের জন্য বাড়িতে হামলা চালান। আগে থেকে টের পেয়ে ফারুকের শিশু পুত্রকে সরিয়ে নেয়ায় এ যাত্রায় তারা অপহরনের হাত থেকে রক্ষা পায়।
এ দিকে বাচ্চাদের না পেয়ে তারা ফারুকের বাড়ি ভাংচুর করে। সেই সাথে শাঁশিয়ে যায় বাচ্চা না দিলে কেউ প্রাণ নিয়ে বাঁচতে পারবেনা।
ফারুক হোসেন জানান, আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সেই সময় আমার শিশু পুত্রদের ফেলে রেখে চলে গিয়েছিল। আমি তাদের বলেছিলাম যদি কোর্টে মহামান্য আদালত আপনাদের বাচ্চাদের দায়িত্ব দেয় তাহলেই আপনারা বাচ্চদের নিয়ে যাবেন। কিন্তু তারা আমাকে বে-কায়দায় ফেলার জন্য এ অপকর্ম করার চেষ্টা করছে।
আব্দুর রশিদদের হামলায় ফারুকের মা খাদিজা, বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধি বোন শাহানারা আহত হয়েছে।