
আব্রাহাম লিংকন: শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পূর্বকৈখালীর মৃত আদম গাজীর বাড়ির সম্মুখে ভারত সীমান্তবর্তী কালিন্দী নদীর ওয়াবদার বেড়িবাঁধের উপরে এলাকার ঘের মালিক, জমির মালিক সহ শতাধিক নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে চলমান মৎস ঘের বহাল রাখার দাবীতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জিএম নুর মোহাম্মদ গাজীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোঃ আব্দুল খালেক, সমাজ সেবক ফজলুল হক গাজী, সাংবাদিক শাহীন আলম এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আবু বক্কার গাজী, আব্দুর রশিদ,আলামিন, আব্দুল আজিজ গাজী।মানববন্ধনে আঃ খালেক বলেন আমাদের পরিবারের অসচ্ছলতার জন্য আমরা এলাকাবাসি দীর্ঘ ৩০/৪০ বছর যাবৎ মৎস ঘের করে করে আসছি। তারা আরো জানান, আমরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিগত দিনে মৎস ঘের করে আসছি। কিন্তু চলতি বছরে কিছু কুচক্রী মহল আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করলে আমরা চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে তারা বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে আমাদের মৎস ঘের আটকে রাখে। এদিকে মৎস চাষীরা বলেন জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে রেণু ছাড়ার পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঘের থেকে বাগদা চিংড়ি ধরা শুরু করা হয় কারন ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তীব্র তাপদাহে পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়া চিংড়ি মারা যাওয়ার কারণ বলে তারা মনে করেন। তাছাড়া মাছ মারার হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে প্রতি গণে গণে ঘেরে পানি উঠাতে হয় যাতে মাছের ও পানির পরিবেশ ভালো থাকবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত চাষীরা বলেন আমরা কৃষি ব্যাংক সহ বিভিন্ন ঋণ প্রদানকারী সংস্থা কাছথেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করে মাছের চাষ পরিচালনা করতে হয়। তাছাড়া ছোট ব্যবসায়ীরা মহাজনদের কাছ থেকে অগ্রিম ঋণ নিয়ে চিংড়ি চাষ করতে আসতে হয়। সেজন্য যদি কোন কারণে মৎস ঘের আটকে রাখা হয় তাহলে লোকশনে পড়ে আমাদের মারাত্মক ভাবে ক্ষতি সাধন হতে পারে।কারন দীর্ঘ ত্রিশ চল্লিশ বছর যাবত আমরা এভাবেই চিংড়ি মাছের ঘের চালিয়ে আসছি। আরো জানান, আমাদের কোটি, কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কয়েক শত ঘেরে পানি উত্তোলন ও প্রসেসিং শেষে চিংড়ি মাছ ছাড়ার পরে আমাদেরকে তাৎক্ষণিক নোটিশ করে বেকায়দায় ফেলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আমাদের কয়েক হাজার বিঘা জমির এই ঘেরে যদি পানি উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঋণগ্রস্ত হয়ে যাবে ঘের মালিকরা। কর্মসংস্থান হারাবে কয়েক হাজার মানুষ। দিশেহারা হয়ে পড়বে অসহায় দরিদ্র পরিবারগুলো, যারা দিন আনা দিন খাওয়া ঘরের উপরে নির্ভরশীল দিন মজুরি দিয়ে থাকেন, ঘের মালিকরা প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যাহাতে ঘের বন্ধের কারনে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত না হতে হয়।