
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌর নির্বাচন। ভোট গ্রহন শুরুর কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভোট জালিয়াতি, কেন্দ্র থেকে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সব এজেন্টকে বের করে দিয়ে মারধর করা, বিএনপি প্রার্থীকে লাঞ্ছিত করাসহ নানা অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষনা দেন বিএনপি প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নার্গিস সুলতানা। বিএনপি প্রার্থী তুহিনকে গলাধাক্কা দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, নয়টি কেন্দ্রের সবক’টি থেকে নৌকা ছাড়া অন্য সব প্রার্থীর এজেন্টদের গালিগালাজ এমনকি মারধর করে বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা। ভোট বর্জনকারি প্রার্থীদের অভিযোগ, আগে থেকে ৮শ’ করে ব্যালট কেটে নেওয়ায় মুরারীকাটি ও তুলসীডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর একটার সময় যেয়ে ব্যালট না পেয়ে অনেককে শুধু আঙুলে কালি লাগিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে । তারা আরো অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থী ও ওয়ার্ড ওয়ারি সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোট আগে থেকে কেটে নিয়ে প্যানেল হিসেবে ছাপ মারা হয়।
এদিকে দুপুরে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে আসাদ খান, মোজাহিদুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম নামের তিন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জন করেন।
শীতের আড়ষ্টতা ও কুয়াশার চাদর ভেদ করে উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ভিড় দেখা যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার সংখ্যাও বাড়তে থাকে। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট আগেই দেওয়া হয়ে গেছে এমন খবর জানার পর ভোটাররা হতাশ হয়ে ফিরে যান।
তবে কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মনোরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ভোটে ছোট খাটো অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।