
সচ্চিদানন্দদেসদয়,আশাশুনি থেকে: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ী বাঁধের স্লোব কেটে পাকা ঘর নির্মান করা হচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে সপ্তাহ ধরে নির্মান কাজ করা হলেও সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় বহাল তবিয়তে চালান হচ্ছে নির্মান কাজ। এছাড়া ইটভাটায় কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধহাটা-কুল্যা ইউনিয়নের সীমান্তবতী পাউবো’র ২ নং পোল্ডারের বেড়ী বাঁধের স্লোব কেটে এক সপ্তাহ আগে থেকে মেসার্স ইরামনি ব্রিক্স কর্তৃপক্ষ ৩ কক্ষ বিশিষ্ট বৃহৎ আকারের পাকা ঘর নির্মান কাজ শুরু করেন। ঘরের গাঁথনির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ওয়াপদার স্লোব কেটে এবং খাস জমিতে পাকা ইমারত নির্মান করার ঘটনা এলাকার মানুষকে অবৈধ দখল কাজকে উৎসাহিত করছে। সপ্তাহ ধরে নির্মান কাজ চললেও সরকারি কর্তৃপক্ষ ও পাউবো’র পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে ভাটার ম্যানেজার সাংবাদিকদের জানান, অনেক স্থানে এভাবে পাকা কাজ করা হচ্ছে, আমরাও সেরকম কাজ করছি। এব্যাপারে পাউবোর এসও সাদিউর রহমানের সাথে (৩ জানুয়ারি) প্রথমবার মোবাইলে দুপুর ১২ টার দিকে কথা বললে তিনি লোক পাঠাচ্ছি বলেন। কিন্তু কাজের স্থানে কোন লোক আসেনি। একদল সাংবাদিক বিকাল ৪ টার দিকে ইটভাটায় গিয়ে শ্রমিকদের কাজ করতে দেখে পাউবোর এসও’র সাথে পুনরায় মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন, লোক পাঠিয়েছিলাম কিন্তু কাজ করছেনা বলে সে জানিয়েছে। আমি আবার সেখানে লোক পাঠাচ্ছি। তবে সেদিন থেকে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত কাজ বন্দ হয়নি। মঙ্গলবার ইট ভটায় গিয়ে দেখা যায়, পুরোদমে কাজ করা হচ্ছে। এবং ঘরের ছাউনির কাঠের ফ্রেম তৈরির কাজ চলছে। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এসও (বর্তমান দায়িত্ব) (০১৭৪৩-৩২৫৫৭৭) রাব্বির সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি, ঘটনা আমার জানা ছিলনা, জানলাম এখই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় ভাটায় ট্রলিতে করে কাঠ আনতে দেখা যায়। ভাটায় এভাবে কয়লার পাশাপাশি কাঠের ব্যবহারও হয়ে থাকে বলে অনেকে দাবী করেন। এব্যাপাারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন, ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়েছে ।