কালিগঞ্জ প্রতিনিধি:
বর্হিভূত ভাবে পদ ও স্কেল পরিবর্তন করে অতিরিক্ত সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কালিগঞ্জে দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা শহিদুল্লাহ এর তদন্ত করেন, উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ। সোমবার (২৩-নভেম্বর) ১২টায় সময় এ তদন্তু অনুষ্ঠিত হয়। সরজমিনে জানা গেছে, গান্ধুলিয়া দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা শহিদুল্লাহ ১১/০৮/১৯৮১ সালে ম্রাদাসার ক্বারী ইন্তেজের পরিবর্তে সহকারী মৌলভী হিসাবে যোগদান করেন।
সহকারী মৌলভী হিসাবে ৮ বছর পর টাইম স্কেল পান। সে বিধি বহিভূত ভাবে ১৯৯৬ সালে মাদ্রাসা কমিটির অগোচরে ফাঁকা জায়গায় রেজুলেশেনের সহকারী সিনিয়র মৌলভী হিসাবে পদায়ন করেন এবং ৮ বছর পর ২০০৪ সালে টাইম স্কেল পান। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের একই রেজুলেশনে বিধি বর্হিভূত ভাবে তিনি সহকারী সুপার হিসাবে পদায়ন করেন। র্দীঘ ৮ বছরের বেতন স্কেলে ২৩ হাজার টাকার স্কেলে বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন।
এবং বর্তমানে সে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে মাদ্রাসার রেজুলেশন এমপিও কপি বেতন ভাতা খাতা এবং মাসিক বেতন উত্তোলন বিলে তার প্রমান রয়েছে। ফলে মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষা ব্যবস্থা একে বারেই ভেঙ্গে পড়েছে বলে স্থানীয় ব্যক্তি এবং অভিভাবকরা অভিযোগ করেন। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার বিধি বর্হিভূত ভাবে সহকারী সুপার পদ বাতিল সহ অতিরিক্ত অর্থ অত্মসাৎ এর অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে আঞ্চলিক পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কালিগঞ্জ,
জেলা শিক্ষা অফিসার সহ অন্যান্য স্থানে অভিযোগ করলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গতকাল মাদ্রাসায় যেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও অভিযোগকারীদের কাছ থেকে শোনা বোঝা ও তদন্ত কার্যক্রম করেন। এলাকাবাসী এলকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ মাদ্রাসা শিক্ষক শহিদুল্লাহর অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।