
বিশেষ প্রতিবেদক,তালা:
শতবছরের জেলা পরিষদের সরকারী সম্পত্তি দখলদারদের দখলে। জায়গাটিতে মার্কেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী- এমন শিরোনামে বহু প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশ ও স্থানীয় সুশীল সামাজের নেতৃবৃন্দের দাবীর প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপশহরের প্রাণ কেন্দ্রের পুকুরটির সংস্কার ও চারপাশে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্দ্যোগ নিয়েছে জেলা পরিষদ সাতক্ষীরা। তারই প্রথম ধাপের কার্যক্রম শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এর মধ্যে অবৈধভাবে দখলকৃত জায়গা খালি করার নোটিশ প্রদান করেছে জেলা পরিষদ কতৃপক্ষ ।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, জেলা পরিষদের সরকারী খাস সম্পত্তি যার খতিয়ান নং ২ ও দাগ নং ১১২, ১২৪, ১২৬ ও ১২৯ এর ২.০৮ একর মধ্য ১.৪০ একর জমির উপর স্থানীয় মানুষের নিরাপদ খাবার পানির চাহিদা মেটাতে পুকুরটি খনন করেন কোন এক ধার্মিক ব্যক্তি।পরবর্তীতে ডিষ্ট্রিক বোর্ড এই পুকুরটি রক্ষনা-বেক্ষনের দায়িত্ব নেন। এখন ওই পুকুরের দূর্গন্ধযুক্ত পানি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের উপযোগী নেই।বর্তমানে একটি স্বার্থন্বেষী মহল পুকুর পাড়ে পাকা দোকান-পাট সহ বহুতল ভবন নির্মান পূর্বক জবর দখল করে সংকীর্ণ করে ফেলেছে পুকুরটি।
এমনকি পুকুরের মধ্যে ঝুলন্ত টয়লেট তৈরী করেছে তারা। সরেজমিন স্থানীয় জনগনের সাথে কথা বলে জানাযায়,যারা অবৈধ ভাবে জায়গা দখল করে ঘর তৈরী করেছে তারা অধিকাংশই ব্যবসায়ী না।সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে দোকান প্রতি ২/৩ লক্ষ টাকা অগ্রীম নিয়ে ওই ঘর ভাড়া দিয়েছেন এবং প্রতিমাসে ৬/৭ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করছেন তারা। এমনকি অনেক অবৈধ দখলদার ওই ঘর ৬/৭ লক্ষ টাকায় বেচে দিয়েছেন ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীদের কাছে। এখন অগ্রীম টাকা ফেরত দিতে হবে এই ভেবে অনেক অবৈধ দখলদার জেলা পরিষদের দেওয়া নোটিশ ভূয়া বলে অপ-প্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী স্বার্থন্বেষী মহল।
জেলা পরিষদ কতৃক নোটিশ উল্লেখ করা হয়েছে উচ্ছেদ মামলা নং১৯/জেপসা/উচ্ছেদ/২০২০-২০২১/১৮২ নং স্মারকে উপযুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন তালা উপজেলার তালা মৌজার ২ খতিয়ানের ১২৯নং দাগের পুকুরের জমিতে সুপার মার্কেট নির্মানের নিমিত্ত¡ গত ২৫-০৬-২০২০ তারিখ অনুষ্ঠিত পরিষদের সভায় সিধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
আপনি উক্ত পুকুর ও পাড়েন জমিতে বসবাস অথবা ব্যাবসার উদ্দেশ্য স্থাপনা নির্মান করে দখলে রেখেছেন। সে কারনে জেলা পরিষদের সুপার মার্কেট নির্মান কাজ বাস্তায়নে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এমতবস্থায় পত্র প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্য আপনার নির্মিত স্থাপনা অপসারণ পুর্বক জেলা পরিষদের সার্ভেয়ারে নিকট দখল হস্তান্তর করার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় বিধি মোতাবেক আপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলা রজু করা হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান, ইতিপূর্বে জেলা পরিষদের অধীনে তালায় আরও দুটি মার্কেট নির্মিত হয়েছে। এতে করে স্থানীয় ক্রেতা-বিক্রেতারা উপকৃত সহ সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা পরিষদের জায়গাটিতে পরিকল্পিত আরও একটি মার্কেট নির্মান করা হলে তালা বাজারের ব্যবসা বান্ধব দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ তৈরী হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানান,তালায় জেলা পরিষদের সম্পত্তির চারিপাশ দিয়ে মার্কেট তৈরী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জেলা পরিষদ। আমরা কারো হাতে নোটিশ পাঠায়নি। ডাকযোগে নোটিশ প্রেরণ করেছি। ভূয়া হলে চেয়ারম্যানের সাথে তারা (ভূক্তভোগীরা) কথা বলতে পারেন। যে উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটা বাস্তবায়ন হবে, এনিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।