
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় তিন বছর পর আবারও সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার আলোচিত এ মামলার অন্যতম সাক্ষী সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ সাক্ষ্য দেন। সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে দুপুরে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। তিনি মামলাটির ১০ নম্বর সাক্ষী। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য হওয়ায় সাক্ষীকে জেরা করেননি আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আগামী রোববার মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবদুল লতিফ এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ বলেন, আদালতের কাছে তারা লিভ টু আপিল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। আদালত আগামী রোববার মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তামিম আহমেদ সোহাগ জানান, মামলার ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে মামলার স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন আসামিরা। এরপর চলতি বছরের ২২ অক্টোবর উচ্চ আদালত থেকে মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ৯০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করার জন্য সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। সে অনুযায়ী গত ৪ নভেম্বর নিম্ন আদালতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম ফের শুরু হয়।
ধর্ষণের শিকার এক নারীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ঢাকায় ফেরার পথে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০-৭৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।