
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মুঠোফোনে কথা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, সাক্ষাৎ বন্ধের পর মুঠোফোনে যোগাযোগ রক্ষার আবেদন করেছিল আসামিপক্ষ। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
এর আগে, ২৮ সেপ্টেম্বর কারা কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়ে আইনজীবী ও স্বজনদের সাক্ষাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত বলেন, করোনার কারণে প্রদীপের সঙ্গে আইনজীবী ও স্বজনদের সাক্ষাতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এরপর আমরা কারা বিধি মেনে মুঠোফোনে যোগাযোগের আবেদন করলে অন্য আদালতে তার বিরুদ্ধে হত্যা ও চাঁদাবাজির মামলা চলমান থাকায় আদালত সেটি মঞ্জুর করেননি। এছাড়া আদালতে চিকিৎসার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করলে যথাযথ চিকিৎসা নেয়ার আদেশ বহাল রেখেছে।
দুদকের করা মামলায় শুনানির জন্য ১২ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয় প্রদীপকে। ১৪ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত। এ সময় আসামিপক্ষ জামিন চাইলে ২০ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করে আদালত। পরবর্তীতে ২০ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তার সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক্রের আদেশ দেয় আদালত।
চলতি বছরের ২৩ আগস্ট প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন।
মামলার এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় ২০১৮ সালের জুন মাসে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। এরপর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য বলা হলে একই বছরের মে মাসে দুদকে বিবরণী জমা দেন তারা।
সূত্র-ডেইলি বাংলাদেশ