
আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে চাঁদাবাজির সময় জনরোষে পড়ে মোটর সাইকেল ফেলে পলায়নকারী সেই চার সাংবাদিককে আটক করেছে থানা পুলিশ। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল৩.৩০ টার দিকে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা গ্রামের মৃত ওসমান গনি সরদারের ছেলে নিকাহ রেজিস্ট্রার আছাদুজ্জামান আলিমের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ৪ জন কথিত সাংবাদিক নিজেদেরকে টিভি চ্যানেল থেকে এসেছেন পরিচয় দিয়ে বাল্য বিবাহ সহ বিভিন্ন বিবাহ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়ার ছলে ১০ হাজার টাকা চাঁদাদাবী করেন। টাকা না দিলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া ও পত্রিকায় নিউজ করার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তাদেরকে বাড়িতে বসিয়ে রেখে তিনি জেলা রেজিষ্টারকে ফোন করেন। এ সময় জেলা রেজিস্ট্রার বিষয়টি থানাকে অবহিত করার কথা বলেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে বাক বিতন্ডাকালে স্থানীয়রা ছুঁটে এলে বেগতিক অবস্থা বুঝে ওই চার কথিত সাংবাদিক তাদের সাতক্ষীরা-হ ১৬-১৫১৫ ও সাতক্ষীরা-হ ১৩-৮৬০৩ নং দু’টি মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। জনগন মোটর সাইকেলের চাবি আগে থেকে তুলে নেওয়ায় বিল আড় দিয়ে ভো দৌড় দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পরে এ ব্যাপারে থানাকে অবহিত করলে পুলিশ মটর সাইকেল দু’টি থানা হেফাজতে নেয়।
এরপর ঐ নিকাহ রেজিস্ট্রার কথিত সাংবাদিক চক্রের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজীর অভিযোগে ৫(৯)২০২০ নং মামলা দায়ের করলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) এর দিক নির্দেশনায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দেবহাটা সার্কেল) শেখ ইয়াছিন আলীর তত্ত্বাবধানে, আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবিরের নেতৃত্বে, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান এর বুদ্ধিমত্তায় এসআই গাজী নূর নবী সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স এর সহায়তায় সেই চার কথিত সাংবাদিককে আশাশুনি এলাকা হতে সুকৌশলে আটক করেন।
আটক চার কথিত সাংবাদিক হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বকচর গ্রামের মৃত মোনতাজ মোল্যার ছেলে আব্দুল মান্নান (৫৭), একই গ্রামের মৃত আফছার উদ্দীন সরদারের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৫), কুখরালী গ্রামের মৃত মকিম হোসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন আব্বাস (৬৪) ও আশাশুনি উপজেলার আদালতপুর গ্রামের আবুল কাশেম সরদারের ছেলে বর্তমানে সাতক্ষীরা সদরের চালতেতলা এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম (৩৮) ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবীর বলেন, এ ঘটনায় বেউলা গ্রামের নিকাহ রেজিষ্টার আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে আটককৃত চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃতদেরকে বিচারার্থে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।