
জি,এম,নজরুল ইসলাম,মুন্সীগঞ্জ (শ্যামনগর): শ্যামনগর উপজেলায় ক্যারাম বোর্ড একটি পরিচিত ও জনপ্রিয় খেলা। ছাত্র, তরুন আর যুবকরাই অবসরে তাদের প্রিয় খেলা কেরাম বোর্ড খেলে সময় কাটায়। ইদানিং সেই সৌখিন আর ভদ্র কেরাম বোর্ড খেলায় ভয়াবহ জুয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এককালের সৌখিন তাস খেলা যেমন এখন জুয়ার অতল গহ্বরে ডুবে গেছে, ঠিক তেমনী ক্যারাম ও লুডু খেলাও জুয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলার ৭নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে বাজার, রাস্তার মোড়ে ও গ্রামের মধ্যে চায়ের দোকানগুলিতে এই কেরাম বোর্ড, লুডু ও তাস খেলার অন্তরালে নিয়মিত বসছে জুয়ার আসর। আর এসব জুয়ার আসরে থাকছে স্কুল-কলেজের ছাত্র সহ যুবসমাজ। এই কেরাম, লুডু ও তাসের জুয়ায় মগ্ন হয়ে শিক্ষিত যুবকরা সর্বস্ব খুইয়ে চলছে প্রতিনিয়ত। আর পড়ালেখার উপর পড়ছে তার ভয়ংকর প্রভাব। এতে করে অভিভাবকমহল তাদের সন্তানদের নিয়ে চরম শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, সুন্দরবন বাজার সংলগ্ন ২৬নং যতীন্দ্র নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হল ঘরে লুডু খেলার আড়ালে চলছে জুয়া খেলা। গাভা গ্রামে ভূপতি মোড়ে ,মুন্সিগঞ্জ টু হরিনগর রোডের পাশে কুলতলী মনিরুল এর চায়ের দোকানের পিছনে এই কেরাম বোর্ড ও লুডুর আড়ালে ভয়াবহ জুয়া খেলা হয়ে থাকে। সেখানে প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই কেরাম বোর্ড ও লুডুর জুয়ার আসর ।
সন্ধ্যার পর পড়ার টেবিলে না বসে কেরামবোর্ড খেলা সহ মোবাইলফোন হাতে রাস্তায় অযাচিত ঘোরাঘুরি, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে রাত করে বাড়ি ফেরে এই খেলায় আসক্তরা। এলাকার বর্তমান সময়ের উঠতি বয়সী যুবসমাজ যাতে ধ্বংসের পথে পা বাড়াতে না পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখে যুবসমাজকে জুয়ার আগ্রাসন থেকে রক্ষার লক্ষ্যে জরুরী প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন সচেতন অভিভাবকমহল।