আব্রাহাম লিংকন শ্যামনগর থেকে: ভারতীয় গরু পাচারের মুল হোতা জামু ও দেলোয়ার প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এ ব্যাপাওে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকার্ষন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের উপর দিয়ে ভারত থেকে আসছে অবৈধ গরু, সেই সাথে অভিযোগ আছে মাদকদ্রব্যেরও। জেলার বিভিন্ন স্থানে খাটাল থাকলেও শ্যামনগরে কোন বৈধ খাটালের অনুমোদন নেই। বর্তমান মহামারী করোনা কালে সরকারের নির্দেশ আছে যে, এবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভারত থেকে কোন গরু দেশে আসবে না। দেশের গরু খামারীদের লোকশান ঠেকাতে দেশীয় গরুর উপর চাহিদা রাখা হবে।
এদিকে একটি অনলাইল সংবাদ মাধ্যমে দেখা গেছে যে, এবার ঈদুল আযহার সময়ে কোরবানির বাড়তি চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে গরু আনবে না সরকার। শিল্প মন্ত্রণালয় অনলাইনে আয়োজিত চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন টাস্কফোসের দ্বিতীয় সভায় এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আনসার ও সীমান্ত) মো. সাহেদ আলী। তিনি বলেন, এবার দেশীয় খামারিরা যাতে গবাদিপশুর ভালো দাম পান, তা নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ভারত সীমান্ত দিয়ে রাতে আধাঁরে ভারত থেকে অবৈধ পথে সুন্দরবনের উপর দিয়ে গরু নিয়ে আসছে। তবে এখানেই শেষ না, তার সাথেও আসছে ইয়াবা, বিদেশী মদ, ফেনসিডিল, গাজা সহ বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য সহ কেমিক্যাল।
বর্তমান সংক্রমন ঠেকাতে প্রশাসনের যখন মহামারি করোনা ভাইরাস্ দিকে নজর ঠিক সেই সময়ে স্থানীয় অবৈধ পথে গরু পাচারকারীর মুল হোতা গোলাখালী গ্রামের ছেয়ামউদ্দীন মোল¬্যার পুত্র র্যাবের স্যালেন্ডারকৃত বনদস্যু জামির আলী ওরফে জামু ও তারই পার্টনার পূর্ব কৈখালী গ্রামের মুনছুর মোল্ল্যার পুত্র দেলোয়ার।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে, গোলাখালী গ্রামের ছেয়ামউদ্দীন মোল¬্যার পুত্র মেকাইল ভারতে বসাবস করে। সেই সুবাদে তার আপন ভাই র্যাবের স্যালেন্ডারকৃত বনদস্যু জামির আলী ওরফে জামু এই অবৈধ গরু পাঁচার করে থাকে। জামু বাংলাদেশ থেকে বড় পাটি ধরে ভারতে তার ভাই মেকাইলের মাধ্যমে অবৈধ গরু ক্রয় করে এবং এই মেকাইল ক্রয় করা অবৈধ গরু ভারত থেকে সুন্দরবনের কচুখালী নামক স্থানে রেখে মোবাইল করলে জামু ও তাদের সঙ্গীরা সেখান থেকে অবৈধ গরুগুলো রাঁতের আধাঁরে পার করে থাকে এবং দেলোয়ারের বিজিবি ক্যাম্পের পাশে বাড়ী হওয়ার ফলে বিজিবিদের গতিবিধি লক্ষ করে সকল প্রকারে খবর আদান প্রদান করে থাকে। তবে তার সাথে অবৈধ গরু পারাপারে বোর্ডম্যান হিসাবে গোলাখালী গ্রামের বেলাল হোসেনও কাজ করে।
গত ৭ জুলাই ২০২০ তারিখে গভীর রাতে বংশিপুর থেকে শ্যামনগর থানা পুলিশ ১৩ পিছ ভারতীয় অবৈধ গরু আটক করে। পরে অবৈধ ভারতীয় গরু পাচারের অপরাধে জামু, বেলাল সহ বেশ কয়েকজনের নামে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দ্বায়ের করে শ্যামনগর থানার পুলিশ।
তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকাতে প্রশাসনের নজর মহামারি করোনা ভাইরাস্ এর দিকে থাকার ফলে ধরাছোয়ার বাইরে এই অবৈধ গরু পাচারকারীরা।
একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে যে, এরপরও থেকে নেই জামু ও দেলোয়ারে ভারত থেকে অবৈধ গরু পাচার। সাথে আনছে ইয়াবা, বিদেশী মদ, ফেনসিডিল, গাজা সহ বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য সহ কেমিক্যাল।
এ ব্যাপারে জামির আলী ওরফে জামুর ০১৭১১৯৪৮৩৭৪ মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে কৈখালী বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল হাই বলেন, দেলোয়ার যদি এমন ধরনের কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকে তা হলে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
শ্যামনগর অফিসার ইনচার্জ আলহাজ¦ নাজমুল হুদা মোবাইলে রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।