
হাফিজুর রহমান: যুগ যুগ ধরে অবহেলিত, উন্নয়ন বঞ্চিত একটি জনপদের নাম কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মশরকাটি, চান্দুলিয়া, নবিনগর গ্রাম। অত্র ওয়ার্ডের মশরকাটি গ্রামের মহিষকুড় খেয়াঘাট হতে বাঁশতলা বাজারের মধ্য ভাগ হাবিবুর রহমানের ঘের হতে মহিষকুড় খেয়া ঘাটের ব্রিজ পযন্ত ১ কিঃ মিঃ রাস্তাটি নিমার্ণ না করায় জন দূর্ভোগের শেষ নেই। এই রাস্তা দিয়ে কালিগঞ্জ এবং আশাশুনি উপজেলার দশটি গ্রামের মানুষের চলাচলের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। অত্র অঞ্চলের সর্ববৃহৎ বাঁশতলা বাজারের উপর দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত, ব্যবসা বাণিজ্যও চিকিৎসা সহ নানান কাজের একমাত্র নির্ভরশীল ও যাতায়াত সড়ক। সরকার আসে যায় কিন্তু এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। বরং এলকার এই জন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে লাগিনী কোন উন্নয়নের ছোঁয়া। শুধু নির্বাচন আসলে জন প্রতিনিধি, নির্বাচনী প্রার্থী পদধূলি পড়ে ভোট ভিক্ষার জন্য। তার পর ভোটের পর আর ফস করে না কথাটি এলকাবাসীর ।
বর্ষা মৌসুম আসলে হাটু সমান কাঁদা পাড়ি দিয়ে এই অবহেলিত জনপদের মানুষের চরম দূর্ভোগের অন্তঃ নাই। বিষয়টি এলকার জন সাধারণ স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বর, এমপি, মন্ত্রী সবাইকে বলে কোন কাজ হয়নি। তারপর এলকার একজন সাংবাদিকের উদ্দোগ্যে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস হতে নলতা ইউনিয়নের ২টি রাস্তা সহ এই দূর্ভোগ কবলিত ৩টি রাস্তা ১টি প্যাকেজে টেন্ডার দেওয়া হয়।
কিন্তু দূর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য নানান প্রতিকলুতায় নলতা ইউনিয়নের রাস্তার কাজ কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করতে না চাওযায়, যে কারণে উক্ত টেন্ডারে দুই দুই বার কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশগ্রহন করেননি। একমাত্র একক ভাবে যদি উক্ত রাস্তায় টেন্ডার দেওয়া হয় তা হলে হয়তো বা রাস্তাটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে গত ১ সপ্তাহের বৃষ্টিতে রাস্তাটিতে হাটু সমান কাঁদায় বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকার ৩য় বারের মত ক্ষমতায় থাকলেও কোন জন প্রতিনিধি বা সংসদ সদস্য বিষয়টির খোঁজ নেয়নি। যদি আবারও কোন নির্বাচন আসে তা হলে হয়তো বিষয়টির খোঁজ হতে পারে বলে এলকার ভুক্তভোগীরা এ প্রতিনিধিকে জানান।
তাই এ সমস্ত জন বিছিন্ন, জন দরদী, মুখশধারী নেতাদের দিকে না তাকিয়ে মশরকাটি, চান্দুলিয়া, নবীনগর সহ পাশ^বর্তী ইউনিয়নের বাঁশতলা বাজার সহ আশে-পাশের জন সাধারণ সেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে রাস্তাটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করে এলকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। এলকার জন-সাধারণ যার যার সাধ্য মত অর্থ দিয়ে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার অধিক যোগাড় করে গত বুধবার সকাল থেকে জন-দূর্ভোগ কবলিত রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। পঞ্চাশ হাজার ইট কিনে তারা চলাচলের মত ৬ফুট রাস্তার নিমার্ণ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এলকাবাসী যে ভাবে সাড়া ফেলেছে তাতে করে ১ কিঃ মিঃ রাস্তা জন সাধারণ হয়তো বা কোন রকমে তৈরি করে চলাচল যোগ্য করলেও র্দীঘ স্থায়ী কোন সমাধান হবে না।
এই উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মশরকাটি, নবিনগর, চান্দুলিয়া সহ পাশ^বতী ইউনিয়নের অনেক ব্যবসায়ী, ব্যাক্তি সহ নানান শ্রেনী পেশার মানুষ স্ব-উদ্দ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসছেন। তাই এখন সবার মুখোমুখি একটাই শ্লোগান দশে মিলে করি কাজ, হারি-জিতি নাহি লাজ। বিষয়টি চাম্পাফুল ইউনিয়ন বাসী সরেজমিনে এলকার উন্নয়ন পরিদর্শন করে জন-দূর্ভোগ লাঘবের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আশু-হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।